• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

কনওয়ে-মিচেলের সেঞ্চুরিতে উড়ে গিয়েছে ইংল্যান্ড


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৯, ২০২৩, ১১:৫৬ এএম
কনওয়ে-মিচেলের সেঞ্চুরিতে উড়ে গিয়েছে ইংল্যান্ড
ছবি: সংগৃহীত

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চার ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে ২৬ বল হাতে রেখে ৮ উইকেটের বড় জয় তুলে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। এদিন ডেবিড কনওয়ে ও ডার্বি মিচেলের সেঞ্চুরিতে পাত্তায় পায়নি ইংলিশরা। এই ম্যাচে থ্রী লায়ন্সদের ওয়ানডে দলে অবসর ভেঙে ফেরেন অলরাউন্ডার বেন স্টোকস। তার পত্যবর্তনেও ইংল্যান্ডকে বাঁচাতে পারেনি কনওয়ে-মিচেলের ব্যাটিং তান্ডব থেকে।

এদিন আগে ব্যাট করে মিডল অর্ডার তিন ব্যাটারের হাফ সেঞ্চুরির কল্যাণে ৬ উইকটে ২৯১ রান সংগ্রহ করে ইংল্যান্ড। জবাবে কিউই দুই ব্যাটারের সেঞ্চুরিতে ২৬ বল হাতে রেখে ২ উইকেটে সহজেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় সফরকারিরা।

কার্ডিফে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে ইংল্যান্ড। এদিন দুই নিয়মিত ওপেনার জেসন রয় ও জনি বেয়ারস্টোকে ছাড়ায় একাদশ সাজিয়েছিল তারা। ইংলিশদের হয়ে ওপেনিংয়ে নেমেছিলেন হ্যারি ব্রুক ও ডেবিড মালান। দুজনে ভালো শুরু এনে দিয়েছিলেন ইংল্যান্ডকে। ব্রুক কিছুটা সাবধানী থাকলেও উইকেটের চারপাশে মালান ছিলেন সাবলীল। দারুণ সব স্ট্রোকে তুলে নেন ফিফটি।

দলীয় ৮০ রানের মাথায় মালান আউট হন ৫৪ রান করে। মালানের বিদায়ের পর স্কোরকার্ডে আর কোন রান যোগ না করে ফেরেন ব্রুকও। দলের সবচেয়ে বড় ব্যাটসম্যান জো রুটও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৬ রান করে রচিন রবীন্দ্রর বলে ফিরে গিয়েছেন। এরপর অবসর ভেঙে ফেরা স্টোকসকে নিয়ে দারুণ এক জুটি গড়ে তোলেন অধিনায়ক জস বাটলার। তাদের জুটি থেকে আসে ৮৮ রান। এই জুটি ভাঙে ৫২ রানে স্টোকস আউট হলে। ইংল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়ক আউট হওয়ার পর দ্রুত ফিরে গিয়েছেন ওয়ানডে দলের অধিনায়কও। বাটলারের ব্যাট থেকে আসে ৬৮ বলে ৫ চারে ও ২ ছক্কায় ৭২ রান।  

দ্রুত রান তুলতে অভ্যস্ত ইংল্যান্ডও অবশ্যই এদিন ইনিংসের বেশিরভাগ সময় রান তুলেছে ওভারপ্রতি পাঁচের আশেপাশে। শেষ দিকে লিয়াং লিভিংস্টনের ৪০ বলে ৫৩ রান এবং ডেভিড উইলির ১১ বলে অপরাজিত ২১ রানের কল্যানে ২৯২ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দেয় নিউজিল্যান্ডকে। রবীন্দ্র ৪৮ রান দিয়ে ৩ উইকেট শিকার করেন।

রান তাড়া করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতেই উইল ইয়াং ও কনওয়ে ৬১ রান যোগ করে নিউজিল্যান্ডের স্কোরবোর্ডে। ২৯ রান করে ইয়াং আউট হলেও সেটা কিউইদের রান তাড়ায় কোন প্রভাব ফেলেনি। তিন নম্বর পজিশনে হেনরি নিকলসও ফিরে গিয়েছেন দ্রুত। নিকলস ২৬ রান করে আউট হন উইলির বলে। নিউজিল্যান্ড ১১৭ রানে ২ উইকেট হারানর পর ইংলিশদের মূল বিপদ শুরু হয়। চার নম্বরে নামার ডার্বি মিচেলের সঙ্গে কনওয়ে গড়েন ১৮০ রানে জুটি।

আগ্রাসন ও রক্ষণের দারুন মিশেলে ধীরে ধীরে ইংল্যান্ডকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেন এই দুই ব্যাটার। এক পর্যায়ে মিচেল চড়াও হন স্পিনারদের উপর। এক আদিল রশিদকে মারেন তিন ছক্কা। এই দুইজনের অসাধারন জুটিতে ২৯২ রানের টার্গেট অনেকটা মামুলি বানিয়ে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে নিউজিল্যান্ড। কনওয়ে করেন ১২১ বলে ১৩ চার ১ ছক্বায় অপরাজিত ১১১* রান। আর মিচেলের ব্যাট থেকে আসে ৯৪ বলে ৭ চার ও ছক্কায় অপরাজিত ১১৮* রান।

Link copied!