এমনটা নয় যে, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আফগানিস্তান অপারজেয় দল। তবে আরব আমিরাতের বিরুদ্ধে এই ক্রিকেটে আফগানিস্তান অবশ্যই ফেভারিট, তা নিয়ে সংশয়ের কিছু নেই। অথচ, সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ১১ রানে আফগানদের হারিয়ে সমতা আনলো আমিরাত।
শুক্রবার শারজায় সিরিজের প্রথম ম্যাচে জয় তুলে নিয়ে আফগানিস্তান ১-০ লিড নেয়। তবে রোববার সেই শারজাতেই সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে হারের মুখ দেখতে হয় আফগানদের। জয় দিয়ে বছরের শেষ দিনটা স্মরণীয় করে রাখে স্বাগতিকরা। মঙ্গলবার তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ।
টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে আমিরাত। দুই ওপেনার মুহম্মদ ওয়াসিম ও আরিয়ান লাকরার জোড়া হাফ-সেঞ্চুরিতে ভর করে তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৬৬ রান সংগ্রহ করে।
ওয়াসিম ৪টি চার ও ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৩২ বলে ৫৩ রান করে আউট হন। তিনি এক ক্যালেন্ডার বর্ষে ১০০ এর বেশি আন্তর্জাতিক ছক্কা হাঁকানোর বিশ্বরেকর্ডও গড়ে ফেলেন। আরিয়ান ৩টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ৪৭ বলে ৬৩ রান করেন। আকিফ রাজা অপরাজিত ১৩ রান করেন।
আফগানিস্তানের হয়ে ১৫ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট নেন কাইস আহমেদ। ৩৫ রানে ২টি উইকেট নেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। ১৪ রানে ১টি উইকেট নেন মুহম্মদ নবি। ২৫ রানে ১টি উইকেট নেন ফজলহক ফারুকি।
জবাবে ব্যাট করে আফগানিস্তান ১৯.৫ ওভারে ১৫৫ রানে অলআউট হয়। নবি ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় ২৭ বলে ৪৭ রান করেন। ২টি চার ও ৩টি ছক্কায় ২৭ বলে ৩৬ রান করেন হজরতউল্লাহ জাজাই। রহমানউল্লাহ গুরবাজ করেন ১৭ বলে ২১ রান। এছাড়া নাজিবউল্লাহ জাদরান ১২, কাইস আহমেদ ১৮ রান করেন।
আমিরাতের জাওয়াদউল্লাহ ২৬ রানে ও আলি নাসির ২৪ রানে ৪টি করে উইকেট নেন। ম্যাচের সেরা হন আলি নাসির।
আপনার মতামত লিখুন :