বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেবেন না তামিম ইকবাল। একসময় বোর্ডে সরাসরি কাজ করার আগ্রহ দেখালেও শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছেন সাবেক এই অধিনায়ক।
তার সরে যাওয়া নিয়ে জল্পনা কল্পনা শুরু হয়েছিল মঙ্গলবার থেকেই। আজ সে গুঞ্জন সত্যি হলো শেষমেশ। এই বিষয়ে তামিম এরপর মুখ খুলেছেন। বিসিবিতে এক ব্রিফিংয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আপনারা জানেন যে আজকে আমরা আমাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছি। আমিসহ আমরা ১৪-১৫ জনের মতো আমরা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছি। প্রত্যাহার করার কারণটা খুবই পরিষ্কার। আমার মনে হয় না খুব বিষদভাবে বা ব্যাখ্যা করে আপনাদের কিছু বলার আছে।’
আসছে ৬ অক্টোবর বিসিবির নির্বাচন। তবে একে নির্বাচন বলতে নারাজ তামিম। তিনি বলেন, ‘আমি শুরু থেকেই বলে আসছিলাম, নির্বাচন কোন দিকে যাচ্ছে, কীভাবে কী হচ্ছে, তা নিয়ে আপনারা সবাই এখন খুব পরিষ্কার। যখন যা মনে হচ্ছে তখন তা করা হচ্ছে। এটা আসলে নির্বাচন না। ক্রিকেটের সঙ্গে এটা কোনো দিক থেকেই মানায় না।’
নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার কারণ কী? তামিম বলেন, ‘আপনারা যখন ইসি চূড়ান্ত তালিকা দেবে, তখন সে তালিকা দেখলেই বুঝবেন যারা সরে গেছেন তাদের সবাই হেভিওয়েট। এটা আমাদের মতো করে আমাদের প্রতিবাদ যে এই নোংরামির অংশ হয়ে আমরা থাকতে পারব না। বাংলাদেশের ক্রিকেট এটা ডিজার্ভ করে না। দেশের ক্রিকেট ভক্তরাও এটা ডিজার্ভ করেন না।’
তামিম জানান, আরও অনেকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। তবে নানা মহল থেকে চাপ সৃষ্টি করে তাদেরকে নির্বাচনে রাখা হয়েছে। তার কথা, ‘আমি বলে রাখি, এখানে আরও অনেকে প্রত্যাহার করতেন। তাদেরকে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন দিক থেকে চাপ সৃষ্টি করে থামানো হয়েছে। তবে ১৫ জনও যদি সরে গিয়ে থাকেন, তাহলে সংখ্যাটা অনেক বড়। ৫০% প্রার্থী সরে যাচ্ছেন। কোনো একদিন এই বিষয়ে ডিটেইলসে আপনাদের সঙ্গে কথা বলব।’
শেষে তামিম জানান, এই নির্বাচন বিসিবির ইতিহাসে এক কালো অধ্যায় হয়েই থাকবে। তিনি বলেন, ‘এখন যারা বিসিবিতে আছেন, তারা যেভাবে ইলেকশন করছেন, সেভাবে তারা জিততেও পারেন। তবে এটা ইলেকশন হচ্ছে না। তবে যা-ই হয়েছে, আমি একটা কথাই বলব যে ক্রিকেট হেরে গিয়েছে। আপনারা বলেন যে ক্রিকেটে ফিক্সিং বন্ধ করা লাগবে, তাদের বলব, আগে আপনারা নির্বাচনের ফিক্সিং বন্ধ করেন। এই নির্বাচন বিসিবির ইতিহাসে একটা কালো দাগ হয়ে থাকবে।’