• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫

রোবটের সাহায্যে জন্ম নিল দুই কন্যাশিশু!


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ৩, ২০২৩, ০২:২৯ পিএম
রোবটের সাহায্যে জন্ম নিল দুই কন্যাশিশু!

মানুষ ছাড়া কোনো রোবটের পক্ষে কি মানবশিশু জন্ম দেওয়া সম্ভব? উত্তরে সবাই হয়তো বলবেন কখনোই সম্ভব নয়। তবে এ অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। প্রথমবারের মতো রোবটের সাহায্যে দুটি শিশুর জন্ম হয়েছে, যা দেখে হতবাক বিজ্ঞানীরাও।

রোবট যে একদিন মানুষের জায়গা ছিনিয়ে নেবে, তা অনেক আগেই অনুমান করা গিয়েছিল। তবে সেই দিন যে এত দ্রুত এগিয়ে আসবে, বিজ্ঞানীরা ছাড়া হয়তো কেউই বুঝতে পারেনি।

প্রযুক্তি যত উন্নত হচ্ছে, ততই বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে একের পর এক পরিবর্তন লক্ষ করা যাচ্ছে। আর সেই সব পরিবর্তন তাক লাগিয়ে দিচ্ছে মানুষকে। বিজ্ঞানীরাও প্রতিনিয়ত অবিশ্বাস্য সব আবিষ্কার করে চলেছেন। 

এত দিন রেস্তোরাঁ থেকে হাসপাতাল, স্কুল থেকে পার্লার সবখানেই রোবোটিক যন্ত্রের ব্যবহার নজর কেড়েছিল। 
কিন্তু এবার যা হলো, তা হয়তো সৃষ্টির নিয়মকেও চ্যালেঞ্জ করবে। প্রথমবারের মতো রোবটের সাহায্যে দুটি কন্যাশিশুর জন্ম হয়েছে।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক পোস্ট এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, রোবোটিক একটি সুইয়ের সাহায্যে একজন মানুষের ডিম্বাণুতে শুক্রাণু প্রবেশ করানো হয়। এরপর দুটি সুস্থ ভ্রূণের সৃষ্টি হয়। এই সুস্থ ভ্রূণ দুটি ধীরে ধীরে বড় হয়েছে। আর অবশেষে দুটি কন্যাশিশুর জন্ম হয়েছে।

বিশ্বের প্রথম ইনসেমিনেশন রোবট নিয়ে যেসব বিজ্ঞানীরা কাজ করছিলেন, তাদের মধ্যে একজন ফার্টিলিটির ওষুধ সম্পর্কে তেমন কিছু জানতেন না। তিনি এই প্রক্রিয়া চলাকালীন ভিডিও গেমের রিমোটের ব্যবহার করেছিলেন।

প্লে স্টেশনের রিমোট ‘সনি প্লেস্টেশন-৫’ এর কন্ট্রোলার ব্যবহার করে রোবোটিক সুইয়ের মাধ্যমে ক্যামেরার সাহায্যে ডিম্বাণুর মধ্যে শুক্রাণু প্রবেশ করিয়েছেন তিনি। এরপর ক্যামেরার মাধ্যমেই সেটি পর্যবেক্ষণ করেছেন।

বিজ্ঞানীরা আরও জানিয়েছেন, তারা ডিম্বাণুর ভেতরে সিঙ্গেল স্পার্ম সেল ছেড়ে দেন। তার তারপরেই জন্ম নেয় দুই শিশু কন্যা। নতুন এ প্রযুক্তির নাম আইভিএফ। এর কারণে সন্তান গ্রহণে খরচ হাজার হাজার ডলার ব্যয় কমে যাবে।

মার্কিন এমআইটি টেকনোলজি রিভিউ জানিয়েছে, দু’টি কন্যাশিশুর জন্ম হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিশুর বাবা বলেছেন, “এটা বন্য, তাই না? এখন পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াটি ম্যানুয়ালি করা হয়েছে।”

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এই প্রযুক্তির ফলে হয়তো এখন থেকে একজন অবিবাহিত মানুষ ২০ হাজার ডলার ব্যয় করে বাবা কিংবা মা হতে পারবেন। 

Link copied!