• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

পৃথিবীতে এলিয়েন আসার প্রমাণ পায়নি যুক্তরাষ্ট্র


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৭, ২০২২, ০৩:৩৬ পিএম
পৃথিবীতে এলিয়েন আসার প্রমাণ পায়নি যুক্তরাষ্ট্র

খালি চোখে আকাশ দেখার শুরু কবে, তা কেউ জানে না। হয়তো পৃথিবীতে মানুষের যাত্রা শুরু হওয়ার সময় থেকেই আকাশ নিয়ে ভাবা হয়। রাতের আকাশে চাঁদ-তারা, দিনের আকাশে সূর্য আর নানা সময়ে উল্কা, ধূমকেতু দেখে মানুষের মনে আকাশ ও মহাবিশ্ব নিয়ে জানার আগ্রহ জন্মে। সেই আগ্রহ থেকেই অনেক বিষয় জেনে, প্রযুক্তির উন্নয়নের মাধ্যমে এখন মহাকাশে ঘুরে বেড়াচ্ছে মানুষ। তবে মহাকাশের একটি বিষয় নিয়ে মানুষ এখনো স্পষ্টত কিছুই জানতে পারেনি। সেটি হলো ভিনগ্রহী প্রাণী বা এলিয়েন। অনেক বছর ধরে পৃথিবীতে তাদের আগমন নিয়ে নানা গল্প চলতে থাকলেও, এবার সেসব কিছু নাকচ করে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। 

সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা জানিয়েছে, ২০০৪ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত ১৪৪টি ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে, যেখানে এলিয়েনরা পৃথিবীতে এসেছিল বলে দাবি করা হয়। এ নিয়ে তদন্তে নামে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা বিভাগের সদর দপ্তর পেন্টাগন। বেশির ভাগ ঘটনাতেই বলা হয় কোথাও কোথাও আনআইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্টস বা ইউএফও দেখা গেছে অথবা সেন্সরে ধরা পড়েছে। তবে গত ১৬ ডিসেম্বর সংস্থাটি জানিয়েছে, ঘটনাগুলো পর্যালোচনা করে তারা এলিয়েনদের পৃথিবীতে আসা কিংবা ইউএফও নিয়ে পৃথিবীতে দুর্ঘটনায় পড়ার কোনো প্রমাণ খুঁজে পাননি।

এই এলিয়েন ধারণাটি থেকে আমাদের পৃথিবীতে ঘটে গেছে নানা কাণ্ড। বানানো হয়েছে শত শত ব্যবসা-সফল সিনেমা। নানা পোশাক, খেলনা, পোস্টার আর বিভিন্ন পণ্যে সয়লাব বিশ্ববাজার। আর খোদ ইউএফও নিয়ে আছে সীমাহীন উন্মাদনা। ইউএফও দেখা গেছে এমন ভিডিও আছে প্রচুর। অনেক সময় আকাশে অজানা কিছু উড়তে দেখলেই দেওয়া হয় ইউএফওর তকমা। এই উন্মাদনার শুরুটা হয় সেই ১৯৪৭ সালে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় শত্রু ও মিত্র উভয় পক্ষই গোয়েন্দা বিমান আর রকেটের মাধ্যমে আকাশ ভারী করে রাখত। ফলে আকাশে অজানা কিছু দেখাটা স্বাভাবিক হয়ে যায়। ১৯৪৭ সালের ২৪ জুন, কেনেথ আরনল্ড নামের একজন পাইলট দাবি করেন, যুক্তরাষ্ট্রের আকাশে তিনি গোলাকার কিছু উড়তে দেখেছেন। তিনি নিশ্চিত ছিলেন না সেগুলো কী! তাই ডিস্ক আকৃতির বলে উড়ন্ত বস্তুগুলোকে ‘ফ্লাইং সসার’ নাম দেয় সংবাদমাধ্যমগুলো। আর তখন থেকেই ধীরে ধীরে ইউএফও শব্দটি প্রচলিত হয়ে যায়। এবং সেই সঙ্গে বাড়তে থাকে ইউএফও দেখার ঘটনাও। লেখা হয় শত শত গল্প, কাহিনি আর নাটক।

স্থল, জল আর অন্তরীক্ষে ঘটা এই ঘটনাগুলো নিয়ে গবেষণা করতে গিয়ে পেন্টাগন আরও শত শত নতুন ঘটনা খুঁজে পায়। সেগুলোরও তদন্ত চলছে এখন। তবে এলিয়েন নিয়ে কোনো প্রমাণ না পেলেও, এলিয়েন থাকার সম্ভাবনা তারা উড়িয়ে দেননি। তারা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে গবেষণাটি চালিয়ে যাচ্ছেন। ২০২১ সালের পর ইউএফও দেখার কতগুলো ঘটনা ঘটেছে, সেই সংখ্যাটি এখনো জানায়নি কর্তৃপক্ষ। ২০২২ সালের শেষের দিকে এই সংখ্যাটি জানানো হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। 

Link copied!