• ঢাকা
  • বুধবার, ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর বাণী


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মার্চ ১৭, ২০২২, ০৯:৫৭ পিএম
পবিত্র শবে বরাত উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর বাণী

আগামীকাল শুক্রবার পবিত্র শবে বরাত। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় শুক্রবার দিবাগত রাতে মহান আল্লাহর রহমত কামনায় ‘নফল ইবাদত-বন্দেগীর’ মধ্য দিয়ে পবিত্র শবে বরাত পালন করবেন।

এছাড়া হিজরি বর্ষের শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগত রাত সৌভাগ্যের রজনী। মহিমান্বিত এ রাতে মহান রাব্বুল আলামিন তার বান্দাদের ভাগ্য নির্ধারণ করেন। ধর্মপ্রাণ মুসল্লীরা এ রাতে মহান আল্লাহর রহমত ও নৈকট্য লাভের আশায় নফল নামাজ, কোরআন তিলাওয়াত, জিকির-আজগারসহ বিভিন্ন ইবাদত বন্দেগী  করে থাকেন।

এদিকে শবে বরাত উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বাণীতে বলেন, “আসছে পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে সমাজের দরিদ্র ও দুর্দশাগ্রস্তÍ মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসার জন্য বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।”

রাষ্ট্রপতি বলেন, ‍“পবিত্র শবে বরাত মুসলমানদের জন্য মহিমান্বিত ও বরকতময় এক রজনি। এ উপলক্ষে তিনি দেশবাসীসহ সমগ্র মুসলিম উন্মাহকে আন্তরিক মোবারকবাদ জানান।”

মো. আবদুল হামিদ বলেন, “মাহে রমজান ও সৌভাগ্যের আগমনী বার্তা নিয়ে পবিত্র লায়লাতুল বরাত আমাদের মাঝে সমাগত। উপমহাদেশে শবে বরাত প্রধানত সৌভাগ্যের রজনি হিসেবে পালিত হয়। পবিত্র এ রজনি আল্লাহ তায়ালার বিশেষ অনুগ্রহ ও ক্ষমা লাভের অপার সুযোগ এনে দেয়। ইসলাম শান্তি ও কল্যাণের ধর্ম। মানুষের ইহকালীন কল্যাণ ও পরকালীন মুক্তির জন্য ইসলামের সুমহান আদর্শ আমাদের পাথেয়।”

রাষ্ট্রপ্রধান বলেন, “পবিত্র শবেবরাতের এই পবিত্র রজনিতে আমরা সর্বশক্তিমান আল্লাহর দরবারে অশেষ রহমত ও বরকত কামনার পাশাপাশি দেশের অব্যাহত অগ্রগতি, কল্যাণ এবং মুসলিম উন্মাহর বৃহত্তর ঐক্যের জন্য প্রার্থনা জানাই। সৌভাগ্যমন্ডিত পবিত্র শবেবরাতের পূর্ণ ফজিলত আমাদের ওপর বর্ষিত হোক।”

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, “বৈশ্বিক করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এখন অনেকটাই কমে এসেছে। তবে ভবিষ্যতে সংক্রমণ বৃদ্ধি রোধ করতে স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে মেনে চলা ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। আর কিছুদিন পরই আসছে পবিত্র রমজান মাস। এ উপলক্ষে সমাজের দরিদ্র ও দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের সহায়তায় এগিয়ে আসতে তিনি  বিত্তবানদের প্রতি আহ্বান জানান।”

মো. আবদুল হামিদ বলেন, “পরম করুণাময় মহামারি ও সকল ধরনের সংঘাত-সংকট থেকে বিশ্ববাসীকে রক্ষা করুন। পবিত্র শবেবরাত সকলের জন্য রহমত, বরকত, সমৃদ্ধি ও কল্যাণ বয়ে আনুক, মহান আল্লাহর দরবারে এ প্রার্থনা করি।”

অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দেওয়া বাণীতে পবিত্র শবেবরাতের মহাত্মে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানব কল্যাণ ও দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগ করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।

পবিত্র শবেবরাত উপলক্ষে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব দেশের মুসলমানদের আন্তরিক মোবারকবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আসুন সব প্রকার অন্যায় অনাচার হানাহানি ও কুসংস্কার পরিহার করে আমরা শান্তির ধর্ম ইসলামের চেতনা ব্যক্তি সমাজ ও জাতীয় জীবনের সকল স্তরে প্রতিষ্ঠা করি।”

শেখ হাসিনা বলেন, “মানবজাতির জন্য সৌভাগ্যের এই রজনি বয়ে আনে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অশেষ রহমত ও বরকত। এ রাতে আল্লাহপাক ক্ষমা প্রদর্শন এবং প্রার্থনা পূরণের অনুপম মহিমা প্রদর্শন করেন।”

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “করোনাভাইরাস বর্তমানে পুরো বিশ্বকে স্থবির করে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।”

শেখ হাসিনা বলেন, “আমরা জনগণকে সব ধরনের সহযোগিতা করে যাচ্ছি। তিনি এই মহামারিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইবাদত করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি এই সংক্রমণ থেকে সকলের দ্রুত মুক্তি কামনায় মহান আল্লাহতায়ালার কাছে বিশেষ দোয়া করেন।”

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “মহান আল্লাহতায়ালা আমাদের সকলকে হেফাজত করুন, আমিন।”

সূত্র : বাসস

জাতীয় বিভাগের আরো খবর

Link copied!