ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, “দেশে জমির ক্ষেত্রে ‘পাওয়ার অব অ্যাটর্নি’ থাকায় অনেক সমস্যা হচ্ছে। অনেকে এই ক্ষমতার অপব্যবহার করছেন। যারা বিদেশে থাকেন তারা এম্বাসির (দূতাবাস) মাধ্যমে এই পাওয়ার অব অ্যাটর্নি জারি রাখতে পারবেন। তবে সাধারণের জন্য সম্পূর্ণ বন্ধ করা হবে। কারণ, জায়গার যত দাম বাড়ছে, মানুষের লোভ-লালসা তত বাড়ছে।”
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের সমাপনীর দিনের এক অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, “ভূমি উন্নয়ন কর আমরা এখন অনলাইনে এবং ম্যানুয়ালি নিচ্ছি। সবগুলো ডাটা যখন অনলাইনে আপলোড হয়ে যাবে তখন আমরা একটা নির্দেশনা জারি করবো যে, আজ থেকে কোনো ভূমি উন্নয়ন কর ম্যানুয়ালি নেওয়া হবে না। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এ বছরের শেষ দিকে আমরা ভূমি উন্নয়ন কর নেওয়ার ক্ষেত্রে ম্যানুয়াল প্রথা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেব।”
সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, “আমরা মাঠপর্যায়ে ক্ষমতা কমানোর চিন্তা করছি। জবাবদিহির ক্ষেত্রে এখনো অনেকে স্বেচ্ছাচারিতা করে। তারা ইচ্ছামতো অনেক হয়রানি করতে চাই। তাদের বিবেচনামূলক ক্ষমতা বিভিন্ন লেভেলে গিয়ে আমরা কমিয়ে ফেলব, যেন তারা জবাবদিহির ক্ষেত্রে কঠোর থাকে এবং একটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ সমাপ্ত করতে পারে। যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ না করতে পারে তাহলে তাকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।”
মন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে (বিডিএস) হবে বাংলাদেশের সর্বশেষ সার্ভে। বরগুনা, পটুয়াখালীতে যেহেতু এখনো হয়নি, আমরা সেখানে কাজ শুরু করব। এটা পাইলট হিসেবে করছি, এখানে ড্রোন এবং স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ছবি নিয়ে সার্ভে করা হবে। এটাতে সাকসেস হলে সারা দেশের রেপ্লিকা করব। আমাদের ট্রায়াল-এররের মাধ্যমে সার্ভেটা করতে হচ্ছে। আমি এখনো বলছি, বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভের আর কোনো সার্ভের প্রয়োজন হবে না। এটা জেনারেশন থেকে জেনারেশন চলতে থাকবে।”
সুতরাং আমরা এখানে শতভাগ অ্যাকুরেসি মেন্টেন করব। এতে করে কোনো জটিলতা থাকবে না, মানুষ খুব ইজিলি ব্যবহার করতে পারবে বলে জানান তিনি।