• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৪ মে, ২০২৪, ৩১ বৈশাখ ১৪৩১, ৫ জ্বিলকদ ১৪৪৫
পোস্টাল ব্যালট

কেন্দ্রে না গিয়েও যেভাবে ভোট দিতে পারবেন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩, ২০২৪, ০৩:৩৬ পিএম
কেন্দ্রে না গিয়েও যেভাবে ভোট দিতে পারবেন
পোস্টাল ব্যালটে ভোট দানের জন্য তফসিল ঘোষণার পর ১৫ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কাছে আবেদন করতে হয়। ছবি প্রতীকী

দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ৭ জানুয়ারি। এর মধ্যে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। বুধবার (৩ জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে বঙ্গভবনে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে তিনি এই ভোট দেন।

রাষ্ট্রপতির সহধর্মিণী ড. রেবেকা সুলতানাও পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেন। তাদের ভোট বঙ্গভবনের ক্রেডিনশিয়াল হল থেকে ডাকযোগে পাঠানো হয়।

পোস্টাল ব্যালট কী

ভোটের দিন শারীরিকভাবে সরাসরি ভোটদানে অসমর্থ ভোটাররা আগে ব্যালট পেপার সংগ্রহ করে তা ডাকযোগে প্রেরণ করে যে ভোটদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেন, তাকে পোস্টাল ব্যালট বলা হয়।

পোস্টাল ব্যালটে কারা ভোট দিতে পারবেন

নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত ভোটার, প্রবাসী বাংলাদেশি ভোটার, সরকারি চাকরিজীবী, যিনি চাকরিসূত্রে নিজ এলাকার বাইরে বসবাস করেন ও কারাবন্দীরা পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে আবেদন করতে পারেন।

পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিকে কীভাবে আবেদন করতে হয়

পোস্টাল ব্যালটে ভোট দানের জন্য তফসিল ঘোষণার পর ১৫ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসারের কাছে আবেদন করতে হয়। আবেদন প্রাপ্তির পরপরই রিটার্নিং অফিসার সংশ্লিষ্ট ভোটারের কাছে একটি পোস্টাল ব্যালট পেপার ও একটি খাম পাঠাবেন।

  • পোস্টাল ব্যালট পাঠানোর সময় রিটার্নিং কর্মকর্তা আবেদনকারী নাম, সংশ্লিষ্ট নির্বাচনী এলাকার নাম এবং ভোটার তালিকার ক্রমিক নম্বর ইস্যুকৃত ব্যালট পেপারের মুড়িপত্রে লিখে রাখবেন।
  • ভোটার নিজেই যথারীতি ভোট দিয়ে ব্যালট পেপারটি খামে ভরে পাঠাবেন। এক্ষেত্রে ডাক বিভাগের উপযুক্ত কর্মকর্তাকে দিয়ে সার্টিফিকেট অব পোস্টিংয়ের মাধ্যমে ডাকযোগে পাঠানোর প্রত্যয়নসহ তারিখ উল্লেখ থাকতে হবে।
  • সার্টিফিকেট অব পোস্টিংয়ের মাধ্যমে পোস্টাল ব্যালট পেপার গ্রহণ ও চিঠির ওপর এ সংক্রান্ত রাবার স্ট্যাম্পের সিল ব্যবহার করতে হবে।
  • রিটার্নিং কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট ভোটারের কাছে ব্যালট পেপারের সঙ্গে ভোট দেওয়ার নির্দেশনা, ঘোষণাপত্র, একটি ছোট ও একটি বড় খামসহ প্রয়োজনীয় কিছু কাগজ সরবরাহ করবেন। এছাড়া, ব্যালট পেপার পাঠানোর পর মুড়ির অংশ একটি প্যাকেটে সিলগালা করে রাখবেন।
  • কেন্দ্রে গিয়ে ভোটদানে মার্কিং সিল ব্যবহার করতে হলেও পোস্টাল ব্যালট পেপারে টিক (√) চিহ্ন দিতে হবে। এক্ষেত্রে নির্দেশনা অনুসরণ করে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে ব্যালট পেপারটি নির্ধারিত খামে রাখতে হবে।
  • এরপর ওই ভোটারের পরিচিত অন্য কোনো ভোটারের সামনে ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করে তা ওই ভোটারকে দিয়ে প্রত্যায়ন করে নিতে হবে। পরে ভোটদাতা যে ভোটকেন্দ্র এলাকার ভোটার, ওই নির্বাচনী এলাকার ভোটদান প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার আগেই রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠাতে হবে। এক্ষেত্রে ভোটার নিরক্ষর বা প্রতিবন্ধী হলে অন্যদের সহযোগিতা নিতে পারবেন।
  • রিটার্নিং কর্মকর্তা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রাপ্ত পোস্টাল ব্যালট পেপার ফল একত্রীকরণে যুক্ত করবেন। নির্ধারিত সময়ের পরে কোনো ব্যালট পেপার এলে তা আলাদাভাবে সংরক্ষণ করবেন।
  • ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পরও পোস্টাল ব্যালট পাওয়া গেলে তা ভোট হিসেবে গণ্য হবে না।

আইনগতভাবে পোস্টাল ব্যালটের ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকলেও নানা ধরনের জটিলতায় এ নিয়ে আগ্রহ থাকে না ভোটারের। অসচেতনার কারণে এ প্রক্রিয়াটিতে অনেক ভোটার অংশ নেন না।


 

Link copied!