• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

২৮ অক্টোবরের ঘটনার তদন্ত দাবি যুক্তরাষ্ট্রের


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২৩, ১১:৫২ এএম
২৮ অক্টোবরের ঘটনার তদন্ত দাবি যুক্তরাষ্ট্রের

ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে সংঘর্ষের ঘটনার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের দাবি জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে বাংলাদেশে গণতন্ত্র সমর্থন করতে প্রয়োজন হলে পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) ভোরে ওয়াশিংটন ডিসিতে পররাষ্ট্র দপ্তরের সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। সেখানে সাংবাদিক মুশফিকুল ফজল আনসারি ও অন্য একজন সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এ কথা জানিয়েছেন।

এর আগে গত শনিবার (২৮ অক্টোবর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে প্রাণ হারিয়েছেন পারভেজ নামের এক পুলিশ সদস্য। আহত হয়েছেন আরও ৪১ পুলিশ ও ১৯ সাংবাদিক। এ ছাড়া একটি হাসপাতাল, তিনটি বাস, ২টি মাইক্রোবাস ও ১৬টি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়। এ ঘটনায় রাজধানীর বিভিন্ন থানায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলসহ শত শত নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ম্যাথিউ মিলার বলেন, “২৮ অক্টোবর ঢাকায় যে রাজনৈতিক সহিংসতা হয়েছে, আমরা তার নিন্দা জানাই। একজন পুলিশ কর্মকর্তা, একজন রাজনৈতিক কর্মী, হাসপাতাল-বাস পোড়ানো এবং সাংবাদিকসহ বেসামরিক লোকজনের বিরুদ্ধে সহিংসতা অগ্রহণযোগ্য।”

তার কাছে সাংবাদিক মুশফিক জানতে চান, বাংলাদেশে বিরোধীদের মহাসমাবেশে হামলা ও সহিংসতা নিয়ে সপ্তাহান্তে আপনি যে বিবৃতি দিয়েছেন, আমরা তা দেখেছি। এই সহিংসতা মূলত সমাবেশের বাইরে থেকে সংঘটিত হয়েছে। মহাসমাবেশ শুরুর পরপরই তা ভণ্ডুল করে দিতে এই সহিংসতা করেছে পুলিশ। বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ইন্টারনেট। এরপর থেকে বিরোধীদলীয় কয়েক শ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে আছেন প্রধান বিরোধী দল বিএনপি‍‍র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বিরোধী দলীয় নেতাদের পরিবারের সদস্যরা। তাদের বিরুদ্ধে শত মামলা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া কী? এমন প্রশ্নে ম্যাথিউ মিলার ওই মন্তব্য করেন।

অন্য একজন সাংবাদিক তার কাছে জানতে চান, সরকারের ছত্রছায়ায় তাদের ক্যাডাররা পুলিশের ইউনিফর্ম পরে পেট্রল বোমা ও গানপাউডার ব্যবহার করে নিরপরাধ মানুষ হত্যা করেছে। জনগণের ও সরকারি সম্পদ ধ্বংস করেছে। ক্ষমতাসীনরা বলছেন, এসব হামলা বিরোধী দল চালিয়েছে। গত ১৪ বছর ধরে এভাবেই চলছে। এসবের সঙ্গে জড়িত কোনো সংগঠনকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা কি মার্কিন সরকারের আছে?

জবাবে ম্যাথিউ মিলার বলেন, “আগের প্রশ্নেই আমি যে উত্তর দিয়েছি, তা এখানে প্রযোজ্য। আমি বলব যে আমরা এটা পরিষ্কার করেছি বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে সমর্থন করতে প্রয়োজন হলে আমরা পদক্ষেপ নেব। এই মঞ্চ থেকে কখনো সেগুলো ‘প্রিভিউ’ করব না।”

Link copied!