• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৭ মে, ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৮ জ্বিলকদ ১৪৪৫

ইভিএম নিয়ে কথা হয়নি একনেকে, জানতেও চাননি প্রধানমন্ত্রী


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৭, ২০২৩, ০৬:১৮ পিএম
ইভিএম নিয়ে কথা হয়নি একনেকে, জানতেও চাননি প্রধানমন্ত্রী

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) কেনার প্রকল্প জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় ওঠেনি। 

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, “ইভিএম আমাদের তালিকায় ছিল না। প্রধানমন্ত্রী এটা নিয়ে জানতেও চাননি।”

একনেকের সভায় কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণ প্রকল্পটি দ্বিতীয়বারের মতো সংশোধনের জন্য মঙ্গলবার (১৭ জানুয়ারি) অনুমোদন দেওয়া হয়। এটিসহ ১১টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। ১১ প্রকল্পের ব্যয় ১০ হাজার ৬৮৩ কোটি টাকা।

ইভিএম বিষয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, “এটা আইন অনুযায়ী প্রক্রিয়াধীন। যদি এটা অনুমোদন না হয় তবে সংশ্লিষ্টরা দেখবেন। এটা আমার আওতায় নেই।”

একনেক সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, “কর্ণফুলী টানেল নির্মাণ প্রকল্পসহ একনেক সভায় সব মিলিয়ে ১১টি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এর মধ্যে অন্যতম প্রকল্প হলো চট্টগ্রামের পটিয়ার শ্রীমাই নদে বাঁধ নির্মাণ, বরিশালে শেখ হাসিনা সেনানিবাসকে নদীভাঙন থেকে রক্ষায় প্রকল্প, মাতারবাড়ী কয়লা-বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প (সওজ অংশ), কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলা সদর থেকে করিমগঞ্জ উপজেলার মরিচখালী পর্যন্ত উড়ালসড়ক নির্মাণ, বাংলাদেশের ২৪টি শহরে অন্তর্ভুক্তিমূলক স্যানিটেশন প্রকল্প ও ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যাডাপটেড আরবান ডেভেলপমেন্ট ফেজ-২ (খুলনা) প্রকল্প।”

কর্ণফুলী টানেল বিষয়ে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, কর্ণফুলী টানেল প্রকল্পটি এখন প্রায় শেষের দিকে। শিগগিরই এই টানেল যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা আছে। গত নভেম্বর মাসে প্রকল্পটি সংশোধনের প্রস্তাব দিয়ে পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছিল সেতু কর্তৃপক্ষ।

গত কয়েক মাসে ডলারের দাম ৮৬ টাকা থেকে বেড়ে ১০৬ টাকা হয়েছে। সে কারণে এই প্রকল্পের খরচ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া আসবাব কেনা, শুল্ক-কর বৃদ্ধির কারণেও খরচ বাড়ছে বলে জানা যাচ্ছে।

২০১৫ সালে প্রকল্পটি যখন পাস করা হয়, তখন এই প্রকল্পের খরচ ছিল ৮ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা। তখন এর মেয়াদ ছিল ২০২০ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত। পরে যথাসময়ে কাজ শুরু না হওয়ায় ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে প্রথম দফা সংশোধন করে খরচ ধরা হয় ১০ হাজার ৩৭৪ কোটি টাকা। মেয়াদ বেড়ে যায় ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত। এখন আবার খরচ বাড়ানো হচ্ছে। চীনের এক্সিম ব্যাংক এই প্রকল্পে অর্থ দিচ্ছে।

আরও দুই লাখ ইভিএম কেনার জন্য আট হাজার ৭১১ কোটি টাকার একটি প্রকল্প প্রস্তাব চূড়ান্ত করে নির্বাচন কমিশন। তবে প্রকল্পটি এখনও অনুমোদন দেওয়া হয়নি। বর্তমানে প্রকল্পের ব্যয় নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়।

একনেক সভা-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেনপরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনা বিভাগের সচিব সত্যজিত কর্মকার, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) আব্দুল বাকি প্রমুখ।

Link copied!