• ঢাকা
  • শনিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১, ৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

চাহিদা অনুযায়ী জাল ডলার-রুপি সরবরাহ করত চক্রটি


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২৩, ০৪:০৪ পিএম
চাহিদা অনুযায়ী জাল ডলার-রুপি সরবরাহ করত চক্রটি

ডলার ও রুপির জাল নোট তৈরির অভিযোগে প্রতারক চক্রের ৪ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।

গ্রেপ্তাররা হলেন, উজ্জল দাস ওরফে সোবহান শিকদার (৩৪), আব্দুর রশিদ (৫৫), মমিনুল ইসলাম (৪৬) ও শাহ মো. তুহিন আহমেদ ওরফে জামাল (৪০)।

হারুন অর রশীদ বলেন, “বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) দারুস সালাম থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে জালনোট ও রেভিনিউ স্ট্যাম্প প্রস্তুতকারক চক্রের মূল হোতা উজ্জল দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দারুস সালামের একটি বাসা থেকে বাকি তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে ২৭ লাখ টাকা মূল্যের জাল টাকা, ভারতীয় রুপি ও আমেরিকান ডলার, ১ কোটি ২০ লাখ টাকা মূল্যমানের জাল রেভিনিউ স্ট্যাম্প ও জালনোট তৈরির বিভিন্ন উপকরণ জব্দ করা হয়।

পুলিশ জানায়, আসন্ন রমজান মাসকে টার্গেট করে প্রায় ২০০ কোটি টাকার দেশি-বিদেশি জালনোট বাজারে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিল এই চক্রটি।

ডিবি প্রধান বলেন, “বর্তমান বিশ্ব বাজারে ডলার সংকট হওয়ায় তারা ভারতীয় ও মার্কিন জাল মুদ্রা তৈরি করে বিদেশেও পাচার করতেন। সারা দেশে তাদের এজেন্ট রয়েছে। অপরাধীরা প্রথম পর্যায়ে ১০ লাখ টাকায় ১ কোটি টাকার জালনোট, এরপর ২০ লাখ, প্রান্তিক ধাপে ৫০ লাখ টাকা বিক্রি করত। অ্যাজেন্টদের চাহিদা অনুযায়ী যেকোনো পরিমাণের জালনোট প্রস্তুত করেও দিতেন তারা।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশি টাকার ক্ষেত্রে তারা কম মূল্যমানের নোট, যেমন- ১০০ ও ২০০ টাকা জাল করছিলেন। খালি চোখে এসব নোটের জাল ধরা প্রায় অসম্ভব।”

ডিবি প্রধান আরও বলেন, “প্রায় ৮-৯ বছর ধরে চক্রটি ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় স্বল্প মেয়াদে বাসা ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন মূল্যমানের জাল নোট, ভারতীয় রুপি, আমেরিকান ডলারসহ রেভিনিউ স্ট্যাম্প প্রস্তুত করে আসছিলেন।”

এছাড়া দেশবাসীকে ব্যাংক অথবা অনুমোদিত জায়গা থেকে ডলার কিনতে অনুরোধ করেছেন ডিবি প্রধান।

Link copied!