• ঢাকা
  • শনিবার, ০৭ জুন, ২০২৫, ২৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১১ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

কোরবানির চামড়ায় দরকষাকষি চরমে, লোকসানের শঙ্কা আড়তদারদের


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ৭, ২০২৫, ০৩:৫০ পিএম
কোরবানির চামড়ায় দরকষাকষি চরমে, লোকসানের শঙ্কা আড়তদারদের
ছবি: সংগৃহীত

ঈদুল আজহায় পশু কোরবানির পর চলছে চামড়া সংগ্রহ। সাভারের আড়তগুলোতে আসতে শুরু করেছে রাজধানী ও আশপাশের এলাকার কোরবানির পশুর চামড়া। তবে দাম নিয়ে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে চলছে বাদানুবাদ। লোকসানের ভয়ে সরকার নির্ধারিত মূল্যে চামড়া কিনতে চাইছেন না আড়তদাররা।

ঈদ জামাতের পর সারা দেশে হয়েছে লাখ লাখ পশু কোরবানি। এখন চলছে চামড়া সংগ্রহ। ঢাকা শহরের ভেতরের বেশির ভাগ চামড়া আসে সায়েন্স ল্যাব এলাকায়। সকাল ১০টা থেকে তাই এখানে কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে আসতে শুরু করেন বিক্রেতা ও ফড়িয়ারা।

এখান থেকে চামড়া যাচ্ছে পোস্তা কিংবা সাভারের চামড়া শিল্পনগরীর আড়তগুলোতে। তবে দাম নিয়ে ক্রেতাদের সঙ্গে তাদের চলছে বাদানুবাদ। বিক্রেতারা বলছেন, মান অনুযায়ী চামড়ার নায্য দাম মিলছে না।

এদিকে দুপুর ১২টা থেকে ইজিবাইক, অটোরিকশায় আশপাশের এলাকা থেকে চামড়া আসতে শুরু করেছে সাভারের চামড়া শিল্পনগরী সংলগ্ন আড়তগুলোতে। চামড়া নিয়ে এখানেও চলছে টানাটানি ও দরকষাকষি।
 
প্রতিপিস গরুর চামড়া মানভেদে ৬০০-৭০০ টাকা দাম হাঁকছেন আড়তদাররা। ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে ছাগলের চামড়া। দাম নিয়ে শুরু হয়েছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। আড়ত মালিকদের সংগঠন বলছে, লোকসান এড়াতে সরকার নির্ধারিত দামে চামড়া কিনবেন না তারা।

সাভার কাঁচা চামড়া আড়ত মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. এমদাদুল হক (সোহরাব) বলেন, সরকার নির্ধারিত দামে চামড়া কেনা সম্ভব নয়। কারণ, চামড়ার সঙ্গে লবণ ও শ্রমিক খরচ যুক্ত হবে। নির্ধারিত দামে চামড়া কিনলে লোকসান হবে।
 
উল্লেখ্য, এ বছর চার লাখ পিস চামড়া সংগ্রহ ও সংরক্ষণ হবে হেমায়েতপুরের আড়তগুলোতে। এদিকে ঈদের পর ১০ দিন অন্য জেলার চামড়া ঢাকায় প্রবেশ করতে পারবে না।

Link copied!