• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

৩০ সেকেন্ডেই মোটরসাইকেল নিয়ে পালাত চক্রটি


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মে ২৫, ২০২৩, ০৪:০০ পিএম
৩০ সেকেন্ডেই মোটরসাইকেল নিয়ে পালাত চক্রটি

মোটরসাইকেল চোর চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গ্যারেজ থেকে ১২টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ মে) ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।

ডিবি প্রধান জানান, চাবি দিয়ে তালা খুলে মোটরসাইকেল নিয়ে চম্পট দেওয়া- এই পুরো ঘটনা ঘটাতে তাদের সময় লাগে মাত্র ২৫ থেকে ৩০ সেকেন্ড। দীর্ঘদিন ধরে এভাবেই মোটরসাইকেল চুরি আর কেনাবেচা করে আসছে চক্রটি।

হারুন অর রশীদ জানান, গত ১০ মে ভাটারা থানায় করা মোটরসাইকেল চুরির একটি মামলার তদন্তে নেমে সংঘবদ্ধ এই চোরচক্রের সন্ধান পান তারা। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, চক্রের সক্রিয় সদস্যরা এবং চোরাই মোটরসাইকেল হবিগঞ্জ এলাকায় রয়েছে। এরপর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগ হবিগঞ্জ থেকে চক্রটির সদস্য জাকারিয়া হোসেন হৃদয়কে (২৫) গ্রেপ্তার করে। পরে হবিগঞ্জ সদর থানা এলাকায় হৃদয়ের দেখিয়ে দেওয়া একটি গ্যারেজ থেকে ১২টি চোরাই মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।

তাদের চুরির কৌশল সম্পর্কে ডিবি প্রধান হারুন বলেন, “চক্রের একজন সদস্য প্রথমে মোটরসাইকেল গতিবিধি অনুসরণ করেন। এরপর সুবিধাজনক জায়গায় তাদের অন্য সদস্যরা মোটরসাইকেলটি কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণ করেন। পরে সুযোগ বুঝে নিজেদের সঙ্গে থাকা মাস্টার চাবি দিয়ে ২৫ থেকে ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে মোটরসাইকেলের তালা খুলে গাড়িটি নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।”

তিনি আরও বলেন, “চক্রের সদস্যরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মোটরসাইকেল চুরি করে হবিগঞ্জের খালেক ও ইকবালের কাছে বিক্রি করেন। চক্রটি রাজধানী ঢাকা, গাজীপুর, নরসিংদী, নাসিরনগর, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে প্রতি সপ্তাহে দুই-তিনটি মোটরসাইকেল চুরি করে হবিগঞ্জ সদরের লোকরা বাজার, লাখাই রোডের ‘বন্ধু মটরস’ এর মালিক মোহনের কাছে বিক্রি করে।”

ডিবি প্রধান বলেন, “চোরাই মোটর সাইকেলগুলো ২৫-৩০ হাজার টাকা দরে কিনে ওই গ্যারেজে যন্ত্রপাতি, চেসিস ও ইঞ্জিন নম্বর বদলে ৪০-৫০ হাজার টাকা দামে বিক্রি করা হত।”

অনেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) চুরির মামলা নিতে চান না জানিয়ে ডিবি প্রধান বলেন, “অনেক থানার ওসি মনে করেন, চুরির মামলা নিলে খুঁজতে হবে ও কষ্ট করতে হবে। এ কারণে অনেকে মামলা নিতে চান না। তবে আবার অনেকে (ওসি) কষ্টও করেছেন। আবার মোটরসাইকেল চুরি হলে অনেকে মামলা করতে চান না। তাই আমি বলব মোটরসাইকেল চুরি হলে জিডি না করে মামলা করতে। থানা মামলা নিতে না চাইলে গোয়েন্দা কার্যালয়ে এলে আমরা অভিযোগ নেব।”

Link copied!