টানা কয়েক দিন ধরে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। এ অবস্থার মধ্যেই বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। এটি গভীর নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। এর প্রভাবে টানা ৩ দিন দেশের বিভিন্ন জেলায় রেকর্ড পরিমাণে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছেন কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ।
মোস্তফা কামাল পলাশ নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক থেকে দেওয়া এক পোস্টে এমনটা জানিয়েছেন তিনি।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ বৃহস্পতিবার বলেন, নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। এ নিম্নচাপটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এর প্রভাবে বৃহস্পতিবার সারা দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে উপকূলীয় এলাকায় বৃষ্টি বাড়তে পারে। সেখানে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
আবহাওয়ার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার দমকা হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে।এ ক্ষেত্রে বাতাসের গতিবেগ যদি ঘণ্টায় প্রায় ৬৩ কিলোমিটারের বেশি হয় তবে তাকে ঘূর্ণিঝড় বলে। তবে বাতাসের গতিবেগ যদি ঘণ্টায় প্রায় ৬৩ কিলোমিটারের চেয়ে কম হয়ে থাকে তবে তাকে লঘুচাপ (৩১ কি.মি./ঘণ্টা অপেক্ষা কম) বলা হয়। পাশাপাশি বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৩১ থেকে ৫০ কিলোমিটারের মধ্যে হলে তাকে নিম্নচাপ এবং গতিবেগ ঘণ্টায় ৫১ থেকে ৬২ কিলোমিটার হলে তাকে গভীর নিম্নচাপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
শুক্রবারও ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। তবে, শুক্রবার সারা দেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকারই সম্ভাবনা রয়েছে
পোস্টে আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ জানিয়েছেন, ৯, ৩০, ও ৩১ মে (বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার) রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোর ওপরে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হতে যাওয়া নিম্নচাপ অথবা গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে রেকর্ড ব্রেকিং পরিমাণে বৃষ্টির প্রবল আশঙ্কা রয়েছে। এই ৩ দিনে বাংলাদেশের ও ভারতের আসাম ও মেঘালয় রাজ্যের ওপরে ৫০০ মিলিমিটারের বেশি পরিমাণে বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে।