২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ও দেশের ইতিহাসে ৫৪তম বাজেট এটি।
সোমবার (২ জুন) বেলা ৩টায় ভার্চুয়ালি এই বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন অর্থ উপদেষ্টা। সংসদ না থাকায় তার বাজেট বক্তৃতা বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সম্প্রচার করা হচ্ছে।
উপস্থাপিত বাজেটে নিম্নোক্ত পণ্যের দাম কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
সেগুলো হলো, চিনি, স্যানিটারি ন্যাপকিন, আইসক্রিম, ভূমি নিবন্ধন ফি, ক্যানসারের ওষুধ, ইনসুলিন, এলএনজি, টায়ার, দেশি তৈরি ই-বাইক, মাটির পাত্র-পেপার প্লেটস-অন্যান্য, কম্পিউটারের দেশে তৈরি বড় মনিটর, উড়োজাহাজ ভাড়া, লিথিয়াম-গ্রিফিন ব্যাটারি ইত্যাদি।
এবারও বাজেট প্রস্তাবের দিন থেকেই রাজস্ব খাতে প্রস্তাবিত কর, ভ্যাট ও শুল্কহারগুলো কার্যকর করা হবে।
এর আগে সবশেষ জাতীয় সংসদের বাইরে বাজেট উপস্থাপন করা হয়েছিল ২০০৮ সালে, যখন ক্ষমতায় ছিল সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার। ওই বছরের ৯ জুন তৎকালীন অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা মো. আজিজুল ইসলাম ২০০৮-০৯ অর্থবছরের জন্য ৯৯ হাজার ৯৬২ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করেছিলেন।
গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর দেশের দায়িত্ব নেয় মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের অধীনে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ আজ উপস্থাপন করলেন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম বাজেট।
দায়িত্ব নেওয়ার প্রায় ১১ মাস পর প্রথমবারের মতো বাজেট উপস্থাপন করতে গিয়ে সালেহউদ্দিন আহমেদ চলতি অর্থবছরের মূল বাজেটের তুলনায় ব্যয় কমিয়েছেন ৭ হাজার কোটি টাকা। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো অর্থবছরে বাজেটের আকার আগের বছরের তুলনায় ছোট হলো।
এদিকে সংসদ না থাকায় আগামী ৩০ জুন রাষ্ট্রপতি বাজেট অধ্যাদেশে সই করবেন। ১ জুলাই কার্যকর হবে নতুন বাজেট। তবে বাজেটের অনেক অংশ, বিশেষ করে ট্যাক্স ও কাস্টমসসংক্রান্ত বিষয়গুলো ২ জুন উপস্থাপনের দিন থেকেই কার্যকর হবে।