প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদুল আজহা উদযাপন করতে ঢাকা ছাড়ছেন মানুষ। এই ঈদযাত্রার মধ্যে বাগড়া দিয়েছে বৃষ্টি। মঙ্গলবার (২৭ জুন) সকাল থেকে বেড়েছে বৃষ্টি। নাড়ির টানে বৃষ্টি মাথায় নিয়েই বাড়ি ফিরছে ঘরমুখী মানুষ।
ঈদুল আজহার সরকারি ছুটি শুরু হয়েছে মঙ্গলবার (২৭ জুন) থেকে। বেসরকারি অফিসেও শেষ কর্মদিবস আজ। এবারের ঈদযাত্রায় সবচেয়ে বেশি মানুষ আজই ঢাকা ছাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এর প্রমাণও পাওয়া গেছে। তবে এই ঈদযাত্রায় ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বৃষ্টি। সকাল থেকে বৃষ্টি মাথায় নিয়েই ঢাকা ছাড়তে হচ্ছে নগরবাসীকে।
মঙ্গলবার ভোর থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে রাজধানীতে। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে ঘরমুখী যাত্রীদের। অনেককে বৃষ্টিতে কাকভেজা হয়েই ছুটতে দেখা গেছে। গাবতলী বাস টার্মিনালে গিয়ে দেখা যায়, উত্তর ও দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। বৃষ্টি, গরম আর যানজটের ভোগান্তির মধ্যেও ঘরমুখী মানুষের চেহারায় দেখা গেছে উৎসবের আমেজ। তারা জানিয়েছেন, যত কষ্টই হোক বাড়িতে গিয়ে ঈদ করাই আনন্দের। প্রিয়জনের সান্নিধ্য ভুলিয়ে দেয় সব কষ্ট।
পরিবহন-সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ভোর থেকেই যাত্রীরা টার্মিনালে আসতে শুরু করেন। অনেক যাত্রী ঈদের আগাম টিকিট কাটেননি। তারা তাৎক্ষণিকভাবে টিকিট পেতে আগেভাগেই টার্মিনালে হাজির হয়েছেন। তবে অনেক প্রতিষ্ঠানই তাৎক্ষণিক টিকিট দিতে পারছে না।
আগাম টিকিটের ক্ষেত্রে মঙ্গলবারের টিকিটের চাহিদা সবচেয়ে বেশি ছিল বলে জানিয়েছেন সাকুরা পরিবহনের কাউন্টার মাস্টার মো. আল আমিন। তিনি বলেন, আজকের কোনো টিকিট নেই। সব অনলাইনে আগেই বিক্রি হয়ে গেছে।
যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পদ্মা সেতু হওয়ায় লঞ্চযাত্রা থেকে সরে এসেছেন তারা। দীর্ঘ যাত্রা পরিহার করে ছয় থেকে সাত ঘণ্টার গন্তব্যে পৌঁছাতে চান তারা। ফলে বেছে নিয়েছেন আন্তজেলা বাস সেবা।
ফরিদপুরের যাত্রী মো. আমজাদ হোসেন বলেন, “বাসে গেলে এখন অন্তত এক দিন সময় বাঁচে। তাই লঞ্চে যাই না, বাসে যাই। টিকিট নিয়ে কোনো ঝামেলা নাই।”
এদিকে সকাল ১০টার দিকে কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, ঘরমুখী মানুষ ছাতা মাথায় নিয়ে, কেউবা রেইনকোট পরে আবার কেউ পলিথিন মাথায় নিয়ে স্টেশনে আসছেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলার ওপর দিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট ও এশিয়ান হাইওয়ে (বাইপাস) এই তিন মহাসড়কে অসংখ্য মানুষ যাতায়াত করেন। এ ছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সংযোগ সড়ক হিসেবে পরিচিত ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। এই সড়কটি ছয় লেনে উন্নীত করার কাজ চলছে। ফলে প্রায় সময় যানজট ও গাড়ির ধীরগতির সৃষ্টি হয়।
হাইওয়ে পুলিশ বলছে, ঈদুল আজহায় মহাসড়কে নির্বিঘ্নে যান চলাচলের জন্য অতিরিক্ত টিম কাজ করছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের পক্ষ থেকে নানা উদ্যোগের কারণে মহাসড়কে যানজটের শঙ্কা নেই।
আপনার মতামত লিখুন :