• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ অক্টোবর, ২০২৫, ৩ কার্তিক ১৪৩২, ২৭ রবিউস সানি ১৪৪৭

জুলাই সনদ স্বাক্ষরে অংশ নিয়েছে এবং নেয়নি যেসব দল


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২৫, ০৮:১৮ পিএম
জুলাই সনদ স্বাক্ষরে অংশ নিয়েছে এবং নেয়নি যেসব দল

দেশে গণতান্ত্রিক ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে প্রণীত ‘জুলাই জাতীয় সনদ’-এ স্বাক্ষর করেছেন ২৫টি রাজনৈতিক দলের নেতারা। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাজনৈতিক নেতাদের উপস্থিতিতে সনদে স্বাক্ষর করেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, অনুষ্ঠানে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ এবং কমিশনের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। তবে জুলাই আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও চারটি বাম রাজনৈতিক দল অনুষ্ঠানে অংশ নেয়নি।

অংশ নেওয়া দল ও নেতারা

সনদে স্বাক্ষর করেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি, এলডিপি, খেলাফত মজলিস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ইসলামী ঐক্যজোট, এবি পার্টি, গণ অধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, নাগরিক ঐক্য, এনডিএম, জেএসডি, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, এনপিপি, এলডিপি, গণফোরাম, জাকের পার্টি, জাতীয় গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ লেবার পার্টি, ভাসানী জনশক্তি পার্টি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ ও আমজনতার দলসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধি।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের, এলডিপির ড. রেদোয়ান আহমেদ, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, জেএসডির শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হকসহ অন্যান্য নেতারা এতে উপস্থিত ছিলেন।

অনুপস্থিত এনসিপি ও বাম দলগুলোর অবস্থান

অন্যদিকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), সিপিবি, বাসদ, বাসদ (মার্ক্সবাদী) ও বাংলাদেশ জাসদ অনুষ্ঠানে যোগ দেয়নি।

বুধবার (১৬ অক্টোবর) এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এক বিবৃতিতে জানান, জুলাই সনদের আইনি কাঠামো না হওয়া পর্যন্ত তারা এতে অংশ নেবেন না।

একই দিন মুক্তি ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বাম দলের নেতারা অভিযোগ করেন, ‘চার মূলনীতি’ বিষয়ে তাদের প্রস্তাব কমিশন আমলে নেয়নি।

বাসদের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ বলেন, “আমরা স্বাক্ষরের প্রস্তুতি নিয়েছিলাম, কিন্তু সরকার আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। আমাদের দাবিগুলো গুরুত্ব পায়নি।”

সিপিবির সাধারণ সম্পাদক কাফী রতন মনে করেন, বাম দলগুলোর প্রতি সরকারের এই উদাসীনতা জুলাই সনদের বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নানা মতভেদের মধ্যেও প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানটি দেশের রাজনৈতিক অচলাবস্থা দূর করার সম্ভাব্য সূচনা হতে পারে। তবে এতে মূল আন্দোলনকারী দল এনসিপি ও বাম রাজনৈতিক শক্তিগুলোর অনুপস্থিতি সনদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে নতুন প্রশ্ন তুলেছে।

Link copied!