• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২১ মে, ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

‘গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় ওআইসির দেশগুলোকে এক হওয়া উচিত’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৯, ২০২৩, ০৪:০০ পিএম
‘গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় ওআইসির দেশগুলোকে এক হওয়া উচিত’
গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশে নিযুক্ত কাতারের রাষ্ট্রদূত সেরায়া আলি মাহদি সাইয়্যেদ আল-কাবতানি। ছবি : পিআইডি

ফিলিস্তিনের গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় অর্গানাইজেশন অব ইসলামিক কো-অপারেশন (ওআইসি) ভুক্ত দেশগুলোকে ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশে নিযুক্ত কাতারের রাষ্ট্রদূত সেরায়া আলি মাহদি সাইয়্যেদ আল-কাবতানি গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাতে এলে এ আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।

সাক্ষাতের পর এ বিষয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।

সাক্ষাতে গাজা ইস্যু নিয়ে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “গাজায় শান্তি প্রতিষ্ঠায় ওআইসির দেশগুলোকে এক হয়ে কাজ করা উচিত।”

ফিলিস্তিনের জনগণের জন্য বাংলাদেশও শুকনো খাদ্য, কাপড়সহ অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী পাঠানোর কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

বাংলাদেশে চিকিৎসাবিদ্যা পড়তে আসা ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “ফিলিস্তিনের যেসব শিক্ষার্থী বাংলাদেশে গ্র্যাজুয়েশন করেছে, তারা যেন সংঘাতকালীনও মানুষের সেবা করতে পারে। সে জন্য এখানে তাদের নিরাপত্তা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এসব চিকিৎসক এখন ফিলিস্তিনের হাসপাতালগুলোতে কাজ করছেন।”

সাক্ষাৎকালে সেরায়া আলি মাহদি সাইয়্যেদ আল-কাবতানি বলেন, “কাতার এ বছর ১৮ ডিসেম্বর জাতীয় দিবস উদযাপন করেনি। এর জন্য যা বরাদ্দ ছিল তার পুরোটা (পাঁচ কোটি ডলার) গাজার জনগণকে দিয়েছে।”

কাতারের রাষ্ট্রদূত বলেন, “সারা বিশ্বের মানুষে যেন গাজার পরিস্থিতি জানতে পারে সে জন্য কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা নিউজ নেটওয়ার্ক গাজা ইস্যুতে নিবিড়ভাবে সংবাদ পরিবেশন করেছে।”

গাজা ইস্যুতে বিভিন্ন উদ্যোগের জন্য কাতার সরকারকে ধন্যবাদ দেন প্রধানমন্ত্রী।

সাক্ষাৎকালে ২০২৪ সালের ৪-৬ মার্চ অনুষ্ঠেয় অষ্টম দোহা আন্তর্জাতিক মেরিটাইম ডিফেন্স এক্সিবিশন অ্যান্ড কনফারেন্সে (ডিআইএমডিইএক্স) অংশগ্রহণ করতে একটি আমন্ত্রণপত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে তুলে দেন কাতারের রাষ্ট্রদূত।

আমন্ত্রণপত্র গ্রহণ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, আগামী ৭ জানুয়ারি নির্বাচনে জয়লাভ করলে তিনি এই প্রদর্শনীতে যোগ দেবেন।

কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির উদ্যোগে প্রতি দুই বছর পরপর এই প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়।

২০২৪ সালে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির বাংলাদেশে সফর প্রত্যাশা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “কাতারের আমিরকে স্বাগত জানানোর জন্য আমরা অপেক্ষায় আছি।”

২০২০ সালের মে মাসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে করা আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন কাতারের আমির।

সৌজন্য সাক্ষাৎকালে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, প্রধানমন্ত্রীর অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া।
সূত্র : বাসস

Link copied!