শারীরিক কিছু জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাত ১টা ৪০ মিনিটের দিকে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ও খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শামসুদ্দিন দিদার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শারীরিক কিছু জরুরি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তাকে গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে এভারকেয়ার হাসপাতাল নেওয়া হবে।
প্রায় দেড় মাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ২১ আগস্ট সন্ধ্যায় গুলশানের বাসায় ফেরেন বিএনপির চেয়ারপারসন। উন্নত চিকিৎসার জন্য শিগগিরই তাকে যুক্তরাজ্যে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছিল বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন। ২৩ জুন তার সফল অস্ত্রোপচার হয়।
২০২১ সালের নভেম্বরে খালেদা জিয়া লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর পরামর্শ দিয়ে আসছেন চিকিৎসকেরা। তার পরিবার ও দলের পক্ষ থেকেও সরকারের কাছে বারবার আবেদন-নিবেদন জানানো হয়।
কিন্তু শেখ হাসিনার সরকার তা উপেক্ষা করে এসেছে। সরকার ২০২০ সালের ২৫ মার্চ এক নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা স্থগিত করে তাকে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেয়। তখন থেকে ছয় মাস পরপর তাঁর সাজা স্থগিত করার মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছিল।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরদিন ৬ আগস্ট রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের নির্দেশে খালেদা জিয়া মুক্তি পান। তবে উড়োজাহাজে ভ্রমণের মতো অবস্থা না থাকায় এখনই তাকে বিদেশ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়।