• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১১ অক্টোবর, ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১, ৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

গুজবের বিরুদ্ধে পাল্টা বার্তা দিতে ডিসিদের নির্দেশ তথ্যমন্ত্রীর


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৬, ২০২৩, ০৭:৪৭ পিএম
গুজবের বিরুদ্ধে পাল্টা বার্তা দিতে ডিসিদের নির্দেশ তথ্যমন্ত্রীর

অনিবন্ধিত অনলাইন, আইপিটিভি ও ইউটিউব চ্যানেলের মাধ্যমে গুজব ছড়ানো হলে সঙ্গে সঙ্গে তথ্য মন্ত্রণালয়কে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি)। একই সঙ্গে ডিসিদের জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে গুজবের বিরুদ্ধে পাল্টা বার্তা (গুজবটি যে গুজব) দিতে পরামর্শ দিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বৃহস্পতিবার (২৬ জনিুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিন ছিল। সম্মেলনের তৃতীয় অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, “অসত্য সংবাদ পরিবেশন, গুজব রটানো এবং অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত জেলা পর্যায়ে অনিবন্ধিত অনেক অনলাইন পোর্টাল ও আইপিটিভি আছে। বিভ্রান্তিকর তথ্য ও গুজব ছড়াতে সেগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে।”

দেশের উন্নয়নে সরকার ও প্রশাসনকে একসঙ্গে কাজ করতে হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, “তাই, আওয়ামী লীগ সরকার প্রশাসনকে কখনোই দলীয়করণ করেনি, ভবিষ্যতে করবেও না। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রশাসন কীভাবে কাজ করবে, তা নির্ধারণ করবে নির্বাচন কমিশন; সরকার নয়।”

ডিসিদের সঙ্গে আলোচনা শেষে হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেন, “জেলা প্রশাসক সম্মেলন সরকারের প্রশাসনের একটি নিয়মিত কার্যক্রম। এটি প্রতিবছর হয়। সেই ধারাবাহিকতায় এ বছর হচ্ছে। সরকারের কার্যক্রমগুলো বাস্তবায়ন করা হয় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে। সাধারণ জনগণ জেলা প্রশাসককে কাছে পান। সরকার যে কার্যক্রমগুলো গ্রহণ করে তাদের মাধ্যমেই সেটি বাস্তবায়ন করা হয়। সে জন্য এ জেলা প্রশাসক সম্মেলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

হাছান মাহমুদ বলেন, “জেলা পর্যায়ে অনেকগুলো অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টাল এবং আইপিটিভি আছে। যেগুলোর কোনো নিবন্ধন নেই। ইউটিউব চ্যানেল আছে। যারা সেগুলোতে কাজ করে তারা নিজেদের আবার সাংবাদিক বলে পরিচয় দেয়। সেগুলোর মাধ্যমে অনেক সময় গুজব ছড়ানো হয়। অনেক সময় ভুল তথ্য পরিবেশন করা হয় এবং বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়। এটি একটি বড় চ্যালেঞ্জ। জেলা প্রশাসকের সঙ্গে আলোচনা সময় এ কথাটি উঠে এসেছে।”

আইপিটিভির বিষয়ে তিনি বলেন, “আমরা সর্বসাকুল্যে ১২টি আইপিটিভি নিবন্ধন দিয়েছি। আর কোনোটি দেওয়া হয়নি, বাকি সবগুলো রেজিস্ট্রেশনবিহীন। আমরা এ পর্যন্ত ১৭০টির বেশি অনলাইন পোর্টালকে রেজিস্ট্রেশন দিয়েছি। দৈনিক পত্রিকার অনলাইন হিসেবে আরও ১৭০ এর বেশি রেজিস্ট্রেশন দিয়েছি। টেলিভিশনের অনলাইন পোর্টাল হিসেবে আরো ১৫-১৬টি দেওয়া হয়েছে। বাকি সবগুলো রেজিস্ট্রেশনবিহীন।”

হাছান মাহমুদ বলেন, “অনিবন্ধিত অনলাইন ও আইপিটিভি ব্যাপারে আমরা জেলা প্রশাসকদের বলেছি- আপনারা যদি দেখেন কেউ বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে এবং গুজব ছড়াচ্ছে, অসত্য ও ভুল তথ্য পরিবেশন করে সমাজে হানাহানি তৈরি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে, আবার অনেক সময় কারো বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত সংবাদ পরিবেশন করে সেটিকে আবার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয় ভিন্ন কাজে। সেগুলো হলে আমরা যাতে তাদের বিরুদ্ধে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারি সেজন্য আমাদের জানাতে বলেছি। একই সঙ্গে বিভ্রান্তিকর তথ্য সঙ্গে সঙ্গে সত্য তথ্য যাতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবেশন করা হয় সে বিষয়ে পরামর্শ তাদের দেওয়া হয়েছে।”

তথ্যমন্ত্রী বলেন, “আপনারা জানেন আমরা সিনেমা হল পুনর্নির্মাণ, আবার চালু করা ও আধুনিকায়ন করার উদ্যোগ নিয়েছি। নতুন সিনেমা হল তৈরির জন্য এক হাজার কোটি টাকার ঋণ তহবিল গঠন করা হয়েছে, সেটি মাঠ পর্যায়ে সবাইকে অবহিত করার জন্য জেলা প্রশাসকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।”

বিএনপি অভিযোগ করছে সরকার প্রশাসনকে দলীয়করণ করেছে- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, “সরকার তো প্রশাসনকে নিয়ে কাজ করে। সরকারের রাজনৈতিক অংশ এবং প্রশাসনিক অংশ একসঙ্গেই কাজ করতে হয়। সরকার তার কর্মসূচি বাস্তবায়ন প্রশাসনের মাধ্যমে করে। আমাদের সরকার প্রশাসনকে কোনোভাবেই দলীয়করণ করেন নি এবং করার কোনো পরিকল্পনা আমাদের নেই। আজকে যারা ডিসি হয়েছেন, সচিব হয়েছেন কিংবা যারা বিভাগীয় কমিশনার হয়েছেন, তারা তাদের যোগ্যতা দিয়েই হয়েছেন। আগে বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল, জিয়াউর রহমানের সময়, খালেদা জিয়ার সময়, সাত্তারের সময় প্রশাসনকে দলীয়করণ করা হয়।”
 

Link copied!