• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

‘বঙ্গোপসাগরের সব পানি দিয়ে গোসল করলেও কলঙ্কমুক্ত হবো না’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১১, ২০২৩, ০৮:১২ পিএম

বঙ্গোপসাগরের সব জল দিয়ে গোসল করলেও আমরা কলঙ্কমুক্ত হবো না বলে বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, “আমরা সেই অভাগা জাতি যারা নিজের জাতির পিতাকে হত্যা করেছি। এটা লজ্জার। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় না এলে বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার হতো না। তবুও এই দায় এড়ানো যায় না।”

মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) রাজধানীর রমনায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটের মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে ডকু-ফিকশন ‘ফাইল নম্বর ৬০৬’ উদ্বোধনী প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। শেখ তাজুল ইসলাম তুহিন পরিচালিত ডকুফিকশনটি নির্মিত হয়েছে পাকিস্তান আমলের  গোয়েন্দা শাখা, আইবি‍‍`র গোপন নথির উপর ভিত্তি করে। ছবিটিতে চল্লিশের দশকে শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও তার উপর গোয়েন্দা নজরদারি নিয়ে বানানো হয়েছে।  

ডকুফিকশনের প্রদর্শনীতে আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, “আমরা বঙ্গবন্ধুকে হারিয়েছি। ছোট শিশু রাসেলকেও হত্যা করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুর হত্যার পর বাংলাদেশের ইতিহাস নতুন করে লেখা শুরু করার অপচেষ্টা হয়েছে। কিন্তু এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। কারণ বঙ্গবন্ধু আমাদের হৃদয়ে ছিলেন।”

মন্ত্রী বলেন, “বঙ্গবন্ধু কারাগারে থেকেও যেকোনো আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছেন তাই লিপিবদ্ধ ছিল এই গোয়েন্দা রিপোর্টে। বঙ্গবন্ধু ন্যায়ের জন্য আন্দোলন, স্বাধিকার আন্দোলন, ছয় দফা আন্দোলনে ভূমিকা রেখেছেন। সুশাসন ও স্বশাসনের জন্য বঙ্গবন্ধু কাজ করেছেন।” তিনি আরও বলেন, “বঙ্গবন্ধুকে সেই জন্যই বাঙালির হৃদয় জয় করেছিল। আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলায় যখন বঙ্গবন্ধু জেলে অভ্যন্তরীণ তখন সারা বাংলাদেশের ছাত্র জনতা রাজপথে নেমেছিল।”  

অনুষ্ঠানের সভাপতি ও ডকুফিকশনের পরিচালক প্রকৌশলী শেখ তাজুল ইসলাম তুহিন বলেন, “এই শর্ট ফিল্মটি বাংলাদেশের রাজনীতি ও ইতিহাসের গবেষকদের গবেষণার তথ্য-উপাত্তের একটি সমৃদ্ধ উৎস হবে। কারণ এতে উন্মোচিত হয়েছে, কীভাবে সদ্য জন্ম নেওয়া পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাপারে অনুসন্ধান চালিয়েছিল।”

ডকুফিকশন ফাইল নম্বর ‘৬০৬’ উদ্বোধনী প্রদর্শনীতে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান নক্ষত্রের ডা. মুশফিকা রহমান, আইইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট  প্রকৌশলী এস এম মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, অতিরিক্ত আইজিপি হাবিবুর রহমান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মারুফা আক্তার পপি, কেরানীগঞ্জের উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীন আহমেদ, চিত্রগ্রাহক রাকিবুল হাসান, নির্বাহী প্রযোজক অপরাজিতা সংগীতা, শিল্প নির্দেশক রবি দেওয়ানসহ সরকারের নিরাপত্তা শাখার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট নির্মাতা, অভিনেতা শিল্প ও কলাকুশলীরা বক্তব্য রাখেন।
 

Link copied!