২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৮৯ হাজার ৯৯৯ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ও দেশের ইতিহাসে ৫৪তম বাজেট এটি।
সোমবার (২ জুন) বেলা ৩টায় ভার্চুয়ালি এই বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন অর্থ উপদেষ্টা। সংসদ না থাকায় তার বাজেট বক্তৃতা বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারে সম্প্রচার করা হয়।
প্রস্তাবিত এই বাজেটে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) শিল্প ও প্রযুক্তি খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা, জনপ্রশাসনে বরাদ্দ ১ লাখ ২১ হাজার ৬৬০ কোটি।
এছাড়াও প্রতিরক্ষায় বরাদ্দ ৪১ হাজার ৮০ কোটি টাকা, কৃষিতে বরাদ্দ ৪৬ হাজার ৬১০ কোটি টাকা, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণে বরাদ্দ ৪১ হাজার ৯০৮ কোটি টাকা।
অন্যদিকে বাজেটে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২২ হাজার ৯১০ কোটি টাকা। এ ছাড়া সামাজিক নিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩৭ হাজার কোটি টাকা।
এর আগে গত অর্থবছরের (২০২৪-২৫) জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই তুলনায় এবার বাজেটের আকার ৭ হাজার কোটি টাকা কম।
২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা। এরমধ্যে এনবিআরের লক্ষ্যমাত্রা ৪ লাখ ৯৯ হাজার কোটি। বাকি ঘাটতি ২ লাখ ২৬ হাজার কোটি টাকা।
এর আগে বাজেট উপস্থাপন বক্তৃতা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “বিদ্যুতের মূল্য আপাতত না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মূল্যস্ফীতি আগামী মাসে ৮ শতাংশে নামিয়ে আনা হবে। চলতি বছর অতিরিক্ত ৬৪৮ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রেডে যুক্ত হবে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।”
অর্থ উপদেষ্টা আরও বলেন, “এবারের বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, রাজস্ব আহরণ বৃদ্ধি এবং সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতা বৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায় এবং অবকাঠামো উন্নয়নে জোর দেওয়া হয়েছে।”