• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

‘ডিএনসিসির সব মার্কেট-বস্তিতে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানো হবে’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মে ১৮, ২০২৩, ০৫:৪৬ পিএম
‘ডিএনসিসির সব মার্কেট-বস্তিতে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানো হবে’

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকার প্রতিটি বস্তি এবং মার্কেটে আগুন নেভাতে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানো হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (১৮ মে) দুপুরে রাজধানীর মহাখালী ৭ তলা বস্তিতে সমন্বিত কমিউনিটি অগ্নিনির্বাপক ও পানি সরবরাহ ব্যবস্থার আওতায় ফায়ার হাইড্রেন্টের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

আতিকুল ইসলাম বলেন, “২০২১ সালে যখন ৭ তলা বস্তিতে আগুন লাগে, তখন আমি বলেছিলাম এখানে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসাতে হবে। যেকোনো ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ফায়ার হাইড্রেন্ট বসাতে হবে। আগে আমাদের কোনো বস্তিতে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসাতে পারিনি। ৭ তলা বস্তি দিয়ে শুরু করলাম। পর্যায়ক্রমে অন্য বস্তিতেও বসানো হবে। ফায়ার হাইড্রেন্টে ৬০ হাজার লিটার পানি থাকবে। এই পানি অন্তত ৪০ মিনিটের জন্য ফায়ার সেফটি করতে পারবে। ৪০ মিনিট যদি আমরা টিকে থাকতে পারি। আর রাস্তা যদি খালি থাকে তাহলে কোনো ক্ষতি হবে না। ৭ তলা বস্তি ফায়ার সেফটির জন্য একটি মডেল। পর্যায়ক্রমে অন্য বস্তিগুলোতেও ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানো হবে।”

তিনি বলেন, “জনবসতি জায়গায় ফায়ার হাইড্রেন্ট লাগবে, ফায়ারড্রিল লাগবে। আগুন লাগলে কারা ফায়ার হাইড্রেন্ট ব্যবহার করবে সেই ভলানটিয়ার লাগবে। আমরা ৭ তলা বস্তিতে ১৭ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছি। তাদের স্বেচ্ছাসেবক এটি ব্যবহার করবে। তারা অন্যদের শিখিয়ে দেবে।”

ফায়ার হাইড্রেন্টে ব্যবহারের জন্য ফায়ার কী কী থাকবে উল্লেখ করে মেয়র বলেন, “এখানে একটি চৌবাচ্চা, হোস পাব ও ১৭ জন ফায়ার ফায়ারড্রিল কর্মী থাকবে। এখানে আগুন লাগলে সঙ্গে সঙ্গে ঘণ্টা বেজে উঠবে। ফায়ার অ্যালার্ম বাজবে। এই বস্তির মধ্যে ফায়ার এক্সিট দেখানো হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “ডিএনসিসির আওতাধীন মার্কেটগুলোতেও ফায়ার হাইড্রেন্টসহ সব নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। মহাখালী কাঁচাবাজারকে মডেল হিসেবে নির্মাণ করা হবে। এর আলোকে অন্য সব মার্কেটে ফায়ার হাইড্রেন্ট বসানো হবে।”

Link copied!