• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

‘বাংলাদেশকে ব্যর্থ করতেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: এপ্রিল ২০, ২০২৩, ০৬:৫৬ পিএম
‘বাংলাদেশকে ব্যর্থ করতেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র’

বাংলাদেশকে ব্যর্থ করতেই শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ। তিনি বলেছেন, “আজকে ওরা হত্যা, খুন-গুমের কথা বলে, আওয়ামী লীগ ২১ বছর সব ধরনের নির্যাতন সহ্য করেছে। হত্যার শিকার হয়েছে, বাড়ি-ঘরে আগুন দিয়ে পুড়ানো হয়েছে, জেল-জুলুম ইত্যাদি। ২১ বছর পর, ১৯৯৬ তে আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পেয়ে বিজয় মিছিলও করে নাই। যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। এই সংযমের প্রতিদান কি পেলাম?”

বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) বেলা ১১টায় কালাচাঁদপুর সরকারি স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠ, ওয়ার্ড-১৮, গুলশান-২ (বারিধারা আ/এ সংলগ্ন) পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে যুবলীগ, ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে শেখ হাসিনার ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, “২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে ৩০ হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী সমর্থকদের হত্যা করেছিল। সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ও নারী শিশু নির্যাতন করেছিল পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আদলে। জিয়াউর রহমানের আমলে প্রতি রাতে মানুষকে বিনা বিচারে ফাঁসি দেওয়া হত। এভাবে আড়াই হাজার সেনা কর্মকর্তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছিল। আজকে তারা আইনশৃঙ্খলা এবং হত্যা-গুমের কথা বিদেশিদের কাছে নালিশ করে। আজকে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীদের হাতে গঠিত সংগঠনের নেতৃবৃন্দ গণতন্ত্র চাচ্ছে। যাদের জন্মের মধ্যেই গণতন্ত্র নাই, তারা গণতন্ত্রের কথা বলছে।”

তিনি বলেন, “একদিকে গণতন্ত্রের কথা বলছে, অন্যদিকে সাংবাদিকদের গায়ে হাত দিচ্ছে, পুলিশের ওপর চড়াও হচ্ছে। কিছুদিন আগেও শাহআলী এবং রূপনগর থানায় বিএনপির প্রোগ্রামে আমাদের সাংবাদিক ভাইদের গায়ে হাত দিয়েছে বিএনপি নেতাকর্মীরা। সেই পুরোনো চেহারা উন্মোচিত হচ্ছে ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই। ২০০১ সালে যেই বিএনপি আমাদের সাংবাদিক ভাইদের নির্যাতন করেছিল, তারা সেই বিএনপি ভুলে গেলে চলবে না। এটাও ভুলে গেলে চলবে না, যে ওদের জন্মই হয়েছে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করার মাধ্যমে। একজন স্বৈরশাসকের পকেট থেকে তাদের দলের সৃষ্টি, তারা কি সেটা ভুলে গেছে? তারা নাকি গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেবে “

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে পরশ বলেন, “আমাদের সামনে অনেক কাজ। আপনারা যদি যুবলীগ করতে চান তাহলে পরিচ্ছন্ন রাজনীতি করতে হবে। জনগণের পাশে থাকতে হবে। শেখ হাসিনা যেই রাজনৈতিক মানদ- স্থাপন করেছেন তা অনুসরণ করতে হবে। সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে গণমানুষের অধিকার আদায়ের জন্য কাজ করে যেতে হবে। আমাদের আগামীতে এই দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কোনো জনবিচ্ছিন্ন সুশীলদের পূর্ব-নির্ধারিত সুশাসনের সংজ্ঞা দ্বারা আমাদের পরিচালিত হতে হবে না। আমাদের সুশাসনের সংজ্ঞা শেখ হাসিনা রচিত করেছেন।”

তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার খুলে পড়ে দেখুন, আমি চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলতে পারি এমন কোনো প্রতিশ্রুতি নাই, যা শেখ হাসিনা সরকার পূরণ করে নাই।”

ঢাকা মহানগর উত্তর যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন বাবুলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. ইসমাইল হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিল। এসময় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মো. এনামুল হক খান, প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন পাভেল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক মো. শামছুল আলম অনিক, উপদপ্তর সম্পাদক মো. দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা, উপতথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সম্পাদক এনআই আহমেদ সৈকত, উপমুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক মো. গোলাম কিবরিয়া শামীম, কার্যনির্বাহী সদস্য ড. আশিকুর রহমান শান্ত, যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য বর্ষণ ইসলাম, মো. মুক্তার হোসেন চৌধুরী কামাল, মানিক লাল ঘোষসহ কেন্দ্রীয় মহানগর ও বিভিন্ন ওয়ার্ড যুবলীগের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

Link copied!