ছাত্রলীগ নেতাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক চার্জশিট

বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের গাড়িবহরে হামলার মামলায় সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের শ্যালক মোহাম্মদ ইশতিয়াক মাহমুদ, মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুল হাসান ওরফে রাসেলসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

রোববার (১ অক্টোবর) এ তথ্য জানা গেছে। এর আগে গত ১৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন ডিবির সহকারী কমিশনার রাজন কুমার।

২০১৮ সালের ৪ আগস্ট রাতে সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের মোহাম্মদপুরের বাসায় নৈশভোজে অংশ নেন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাট। নৈশভোজ শেষে তিনি গাড়িতে ওঠার সময় হামলাটি হয়।

এই ঘটনায় করা মামলায় ২০২১ সালের মার্চে ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছিলেন আদালত। তবে পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রপক্ষ অধিকতর তদন্তের আবেদন করে।

আবেদনে বলা হয়, অভিযোগকারীসহ পাঁচজন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। তাদের মধ্যে তিনজন আসামি হিসেবে বাদী বদিউল আলম মজুমদারের শ্যালক ইশতিয়াক মাহমুদের নাম উল্লেখ করেছেন। কিন্তু তদন্ত কর্মকর্তা তার নাম উল্লেখ করেননি। তাই প্রকৃত অপরাধীকে চিহ্নিত করতে অধিকতর তদন্তের প্রয়োজন।

রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর মামলাটি অধিকতর তদন্তের আদেশ দেন। পুনঃতদন্তের দায়িত্ব পায় ডিবি।

মামলার অপর আসামিরা হলেন, ফিরোজ মাহমুদ, মীর আমজাদ হোসেন, সাজু ইসলাম, রাজীবুল ইসলাম, শহিদুল আলম খান, সিয়াম ও অলি আহমেদ। ইশতিয়াক মাহমুদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা। মামলার অন্য আসামিরা জামিনে রয়েছেন।

আসামিদের মধ্যে নাইমুল হাসান ঘটনার সময় মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে তিনি মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি। আরেক আসামি মীর আমজাদ হোসেন ঘটনার বছর মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। শহীদুল আলম খান ছিলেন শেরেবাংলা নগর থানা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক।

২০২১ সালে দেওয়া চার্জশিটে মোহাম্মদপুর থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মোজাহিদ আজমির নাম ছিল। তিনি ওই বছর (২০২১) মারা যান। আজমি ও নাম-ঠিকানা না পাওয়া অজ্ঞাতনামাদের অব্যাহতির অনুরোধ করা হয়েছে।

মার্শা বার্নিকাট ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাকে বহনকারী গাড়ির ওপর হামলার তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে বাংলাদেশের কাছে একাধিকবার জানতে চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। হামলার ঘটনাটিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়ার এবং এ ব্যাপারে কার্যকর ও নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়েছে তারা।