আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, “ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর ও আন্তরিক। আগামী দিনেও ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) আওয়ামী লীগের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। তারা জানিয়েছে, চীন ও জামায়াতে ইসলামী ভারতের জন্য কোনো ঝুঁকি নয়।”
বৃহস্পতিবার(১০ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগের সভানেত্রীর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও জঙ্গিবাদ দমনে ভবিষ্যতেও বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী ভারত। তারা বাংলাদেশে সংবিধানের আলোকে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব বলে মনে করে।”
সফরের বিষয় তুলে ধরে কৃষিমন্ত্রী বলেন, “তিন দিনের সফরে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর, বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পিষুষ গয়া, বিজেপির সভাপতি জগত প্রকাশ নাড্ডাসহ আরও কিছু রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে। তারা বাংলাদেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা দেখতে চায়। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা বজায় থাকার পাশাপাশি বাংলাদেশে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে বলেও আশাবাদী। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সব রকম সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তারা।”
রাজ্জাক বলেন, “ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অনেক উঁচুতে। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের মাধ্যমে সম্পর্ক আরও দৃঢ় হচ্ছে। আওয়ামী লীগের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে চায় বিজেপি। আওয়ামী লীগকে তারা গুরুত্ব দেয়।”
কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, “দুই দেশের দুই রাজনৈতিক দল এক সঙ্গে কাজ করলে ভবিষ্যতে আরও ভালো হবে। চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অংশীদারিত্বমূলক। কিন্তু ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক আত্মিক। তবে জামায়াত এ অঞ্চলের স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি। বাংলাদেশে কী হচ্ছে ভারত তা জানে। নির্বাচনে ভারতের কিছু করার নেই। তারা মনে করে, সংবিধান অনুযায়ী অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।”
এসময় প্রতিনিধি দলের সদস্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অব্যাহত রাখতে একযোগে কাজ করবে ভারত-বাংলাদেশ। এ অঞ্চলে শান্তি শৃঙ্খলা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় বাংলাদেশ সরকারের ভূমিকায় তারা সন্তুষ্ট।”
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “রাজনৈতিক পরিস্থিতি যেন স্থিতিশীল থাকে সেটি চায় ভারত। ১০ ট্রাক অস্ত্র আনা হয়েছে বিএনপির আমলে। ওই আমলে তারা উদ্বিগ্ন ছিল বলে জানিয়েছে। আওয়ামী লীগের আমলে সংখ্যালঘুরা ভালো আছেন। উগ্রবাদীদের পাশের দেশকে ক্ষতি করতে বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করতে দেবে না বর্তমান সরকার- এই ঘোষণাতে সন্তুষ্ট ভারত।”
গত ৬ থেকে ৯ আগস্ট আওয়ামী লীগের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বিজেপির আমন্ত্রণে ভারত সফর করে। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন ড. আব্দুর রাজ্জাক।