• ঢাকা
  • বুধবার, ০৪ জুন, ২০২৫, ২১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০৭ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

সরকারি চাকরির অধ্যাদেশ ‘বাতিল’ না ‘সংশোধন’, যা জানা গেল


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ২, ২০২৫, ১০:২৬ এএম
সরকারি চাকরির অধ্যাদেশ ‘বাতিল’ না ‘সংশোধন’, যা জানা গেল
ছবি : সংগৃহীত

সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ সংশোধন করা হতে পারে বলে আন্দোলনরত কর্মচারী নেতাদের আভাস দিয়েছেন সরকারের দুইজন উপদেষ্টা। চাকরি অধ্যাদেশ নিয়ে কর্মচারীদের দাবির বিষয়ে উপদেষ্টা পরিষদে আলোচনা হবে বলেও জানিয়েছেন তারা।

সরকারি চাকরি অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে রোববার খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার; বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানকে স্মারকলিপি দেন বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মচারী ঐক্য ফোরামের নেতারা। এ সময় অধ্যাদেশ বাতিলের সপক্ষে যুক্তি তুলে ধরেন তারা। তার আগে বেলা ১১টার দিকে সচিবালয়ের ৬ নম্বর ভবনের সামনে বাদামতলায় জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন কর্মচারীরা।

কর্মচারীদের দাবির বিষয়টি উপদেষ্টা পরিষদের নজরে আনা হবে জানিয়ে ফাওজুল কবির বলেন, ‘অধ্যাদেশে কিছু ধারা আছে, যেগুলোর অপপ্রয়োগ হওয়ার আশঙ্কা আছে। আমি এটি নিয়ে আলোচনা করব। আপনাদের (কর্মচারী) যে অবস্থান, তা হলো এটি বাতিল করে দিতে হবে। কিন্তু আপনারা একটা জিনিস মনে রাখবেন, আর একটা বিষয় হতে পারে এই অধ্যাদেশটি যে অপপ্রয়োগ হওয়ার সম্ভাবনা আছে, সেগুলোকে অ্যাড্রেস করা যায় কি না। সেটাও আপনারা একটু মাথায় রাখবেন।’

জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, ‘এটার (অধ্যাদেশ) যে একটা ত্রুটি আছে, সেটা সম্পর্কে কিন্তু আমরা সম্পূর্ণ সচেতন। আমি আপনাদের বাতিল করার দাবি উপদেষ্টা পরিষদে জানাব। আপনারা ভেবে দেখবেন, এই অধ্যাদেশটি রেখে কী কী সেফ গার্ডস ইন্ট্রোডিউস করলে এটা গ্রহণযোগ্য হবে।’

কর্মচারী নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘এককভাবে কেউ সিদ্ধান্ত নেবে না, সম্মিলিতভাবে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমি আপনাদের দাবিগুলো জানিয়ে দেব।’

রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন ‘কথা বলার চ্যানেলটা খোলা থাকুক। আপনারা অপব্যবহারের ভয় পাচ্ছেন, প্রয়োগ তো হয়নি। মিস ইউজের ভয় বিবেচনায় নিলাম। আইনটিকে আপনারা একভাবে দেখছেন, সরকার অন্যভাবে দেখেছে। আপনাদের কথাগুলো কনভে করা হবে। আমরা বৃহত্তর পরিসরে আলোচনা করব। যদি আপনাদের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন হয়, আবারও কথা বলব।’

উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠকের সময় বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-মহাসচিব নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা বাধ্য হয়ে রাস্তায় নেমেছি। এই আইন করে প্রত্যেক কর্মচারীকে আঘাত দেওয়া হয়েছে।’

বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান নূরুল ইসলাম বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এই আইন প্রয়োগ করবেন আর ভোগ করব আমরা। আমাদের দাসত্বে রূপান্তরের জন্য এটা করা হয়েছে। আংশিক সংশোধন নয়, আমরা এটা সম্পূর্ণ বাতিল চাই।’

Link copied!