• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে, ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১,

পড়ালেখায় ছেলেদের আরও মনোযোগী হওয়া দরকার : প্রধানমন্ত্রী


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৩, ১২:৪১ পিএম
পড়ালেখায় ছেলেদের আরও মনোযোগী হওয়া দরকার : প্রধানমন্ত্রী

পড়ালেখায় ছেলেদের আরও মনোযোগী হওয়া দরকার বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, “পাসের হারে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা আড়াই শতাংশ বেশি। ছেলেদের বলব, পড়ালেখায় আরও মনোযোগী হওয়া দরকার। এ ক্ষেত্রে অভিভাবক ও শিক্ষকেরা একটু মনোযোগী হবেন।”

বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ ও পরিসংখ্যান হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে বেলা সোয়া ১১টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলের সারসংক্ষেপ হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।

শিক্ষিত জাতি ছাড়া কখনো একটি দেশ উন্নত হতে পারে না উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই। এতে সবচেয়ে বেশি দরকার শিক্ষিত জনগোষ্ঠী। আমি মনে করি এটাই হচ্ছে হাতিয়ার। এজন্য জাতির পিতা সব সময় শিক্ষাকে শুধু গুরুত্বই দেননি, শিক্ষায় যে টাকাটা ব্যয় হবে, সেটাকে তিনি বিনিয়োগ হিসেবে দেখতেন।”

আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা ক্ষমতায় আসার পর শিক্ষাকে সব সময় গুরুত্ব দিয়েছি। সাক্ষরতা বৃদ্ধির জন্য আমরা সব সময় পদক্ষেপ নিই, এমনকি আমাদের একটা প্রজেক্ট ছিল নিরক্ষরমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলব। প্রতিটা জেলা যাতে নিরক্ষরমুক্ত হয়, সেভাবেই উদ্যোগ নিয়েছিলাম, কয়েকটি জেলার মধ্যে এটা ঘোষণাও করা হয়েছিল। ২০০১ সালে আমরা ক্ষমতায় আসতে পারিনি, তার পরে বিএনপি ক্ষমতায় আসে, সে প্রজেক্ট আর তেমনভাবে কার্যকর হয়নি।”

সরকারপ্রধান বলেন, “ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তুলেছি। প্রতি জেলায় আমরা উচ্চশিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছি, সেটা একদিকে যেমন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে, আবার উচ্চশিক্ষার সুযোগও সৃষ্টি হবে। বর্তমান যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বিষয়ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় আমরা করেছি। একটা মাত্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল, আমরা কয়েকটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় করেছি।”

তিনি বলেন, “১৯৯৬ সালে আমি দেখেছিলাম বিজ্ঞান শিক্ষার প্রতি ছাত্রছাত্রীদের অনীহা ছিল, আমি সে সময় ১২টি বিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম দিয়ে একটি আইন করে দিই। তারপর বহুমুখী বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছি। আমরা সব সময় শিক্ষাকে গুরুত্ব দিয়ে থাকি।”

মাদ্রাসা শিক্ষাকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আধুনিক প্রযুক্তি শিক্ষাটা যাতে তারা নিতে পারে। কারণ এই মাদ্রাসা শিক্ষার পরে ছেলে-মেয়েরা কোথায় গিয়ে কাজ করবে। সে জন্য তাদের ভোকেশনাল ট্রেনিং বা প্রযুক্তি শিক্ষা; এসব টেকনিক্যাল সাইডে যাতে তারা আরও ট্রেনিং নিতে পারে সেই সুযোগটা সৃষ্টি করা দরকার এবং তাদের উৎসাহিত করা দরকার। তাতে তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। কারণ আমরা তো সবার জন্য কাজ করে যাচ্ছি।” 
তিনি বলেন, “ইতোমধ্যে আমরা অনেক মাদ্রাসা এমপিওভুক্ত করে দিয়েছি। শিক্ষকদের সরকারি চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছি। করোনাকালে স্কুল-কলেজে যেতে না পেরে অনেকে একটু বিক্ষিপ্ত হয়ে যাচ্ছিল। সেই সময়টা পার হয়ে গেছে। করোনা আমরা অনেক দক্ষতার সঙ্গে মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছি। পূর্ণদমে আবার শিক্ষাগ্রহণ শুরু হবে, সেটা হয়েছে।”

শেখ হাসিনা বলেন, “শিক্ষার্থীদের যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষাগ্রহণের ব্যবস্থা করেছে বর্তমান সরকার। কর্মসংস্থান ও উচ্চশিক্ষার সুযোগ রেখে বিষয়ভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় করা হচ্ছে। শিক্ষাব্যবস্থাকে বহুমুখীকরণ করা হয়েছে। জেলায় জেলায় মেডিকেল কলেজের পাশাপাশি উচ্চশিক্ষারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষাব্যবস্থাকে এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে।”

তিনি আরও বলেন, “একটা সময় আমি দেখতে পাই, বিজ্ঞান বিষয়ের ওপর আমাদের শিক্ষার্থীদের বেশ অনীহা ছিল। সেই জন্য আমি ১১ জেলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করেছি। বিজ্ঞানকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে তাদের আরও উন্নত হতে হবে। সাধারণ শিক্ষার পাশাপাশি মাদ্রাসা শিক্ষাকেও আধুনিক করা হচ্ছে।”

Link copied!