• ঢাকা
  • রবিবার, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

বিএনপি শুধু হত্যার রাজনীতিই জানে : প্রধানমন্ত্রী


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ২১, ২০২৩, ১২:৪৫ পিএম
বিএনপি শুধু হত্যার রাজনীতিই জানে : প্রধানমন্ত্রী

বিএনপি শুধু হত্যা ও ক্যুর রাজনীতিই জানে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

সোমবার (২১ আগস্ট) গ্রেনেড হামলার ১৯ বছর উপলক্ষে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গ্রেনেড হামলার সঙ্গে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান যে সম্পূর্ণভাবে জড়িত, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তদন্তেও তা বের হয়ে এসেছে। তারা জড়িত ছিল বলেই পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বাধা দেয়।”

২১ আগস্ট আর্জেস গ্রেনেড হামলায় নিজের বেঁচে যাওয়া বিস্ময়কর ছিল বলে মন্তব্য করেছেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহৃত আর্জেস গ্রেনেড ফেলা হয় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে। সেদিন যে বেঁচে গিয়েছিলাম, সেটাই অবাক বিষয়।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিএনপির ভাড়াটে হয়ে আজ যারা মানবাধিকারের কথা বলছে, তাদের কাছে প্রশ্ন ৭৫ ও একুশে আগস্টের সময় মানবাধিকার কোথায় ছিল।”

শেখ হাসিনা বলেন, “আর্জেস গ্রেনেড যুদ্ধক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। সেটা ব্যবহার হলো আওয়ামী লীগের ওপর। সেটা ব্যবহার হলো যখন আমরা মানুষের নিরাপত্তার জন্য সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করছি। একটা-দুইটা না, ১৩টা গ্রেনেড। আর কত যে তাদের হাতে ছিল কে জানে? সেদিন বেঁচে গেলাম সেটাই অবাক বিস্ময়।”

বিভীষিকাময় সেই দিনের কথা স্মরণ করে শেখ হাসিনা বলেন, “আমি কেবল বক্তব্য শেষ করেছি, নিচে নামব, তখন ফটোগ্রাফার গোর্কি আমাকে বলল, আপা একটু দাঁড়ান আমি ছবি নিতে পারিনি। সাথে সাথে অন্য ফটোগ্রাফাররা বলল আপা একটু দাঁড়ান, কয়েক সেকেন্ডের ব্যাপার। সাথে সাথে শুরু হয়ে গেল গ্রেনেড হামলা। হানিফ ভাই আমার পাশে ছিল, সাথে সাথে তিনি টেনে বসিয়ে দিলেন। আমাকে চারদিক থেকে ঘিরে ধরল।”

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “যেসব গ্রেনেড ছোড়া হলো সেগুলো ট্রাকের ওপরে না পড়ে ট্রাকের ডালার সাথে বাড়ি খেয়ে নিচে পড়ে যায়। সমস্ত স্প্লিন্টার হানিফ ভাইয়ের মাথায়। তার সমস্ত গা বেয়ে রক্ত... আমার কাপড়ে এসে পড়ছে। প্রথমে তিনটা, তারপর একটু বিরতি দিয়ে আবার একটার একটা গ্রেনেড মারতে শুরু করল। আমাদের হাজার হাজার নেতা-কর্মী সেখানে উপস্থিত, আইভি রহমান মহিলাদের নিয়ে নিচেই ছিলেন।”

শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের আরেক কর্মী সেন্টুসহ ২২ জন মৃত্যুবরণ করেন। হাজারের কাছাকাছি নেতাকর্মী আহত হয়। ৫০০ জনের ওপরে অত্যন্ত খারাপভাবে আহত ছিল। সেখানে কেউ উদ্ধার করতে আসতে পারেনি। যারা উদ্ধার করতে এসেছিল, তাদের ওপর টিয়ার গ্যাস এবং লাঠিচার্জ করা হয়। এখানেই প্রশ্ন কেন টিয়ার গ্যাস এবং লাঠিচার্জ করে? আমি যখন গাড়িতে উঠছি তখন গুলির আওয়াজ, মাহবুব সেখানেই গুলিতে মারা যায়। সেগুলো আমার গাড়ির কাচে লাগে।”

Link copied!