দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে সংলাপের পথ বিএনপি রুদ্ধ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, “শনিবার ও রোববারের (২৮-২৯ অক্টোবর) ঘটনার প্রেক্ষাপটে বিএনপি সংলাপের পথ রুদ্ধ করে দিয়েছে।”
রোববার বিকেলে ধানমণ্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সংলাপের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমরা আগ বাড়িয়ে সংলাপ নিয়ে কোনো চিন্তা-ভাবনা করছি না। তবুও আওয়ামী লীগ চায়, বিএনপি নির্বাচনে আসুক।”
জামায়াত তাদের সমাবেশের পর সরকারকে ধন্যবাদ দিয়েছে। তাহলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জামায়াতের কোনো আঁতাত হয়েছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, “এই দেশের বাঘা বাঘা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করল যে সরকার, সে সরকারের সততা নিয়ে আপনি প্রশ্ন তুললেন?”
নির্বাচনকালীন সরকারে বিএনপির কাউকে রাখা হবে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, “ইলেকশন টাইমে যদি বাইরের কাউকে যুক্ত করাও হয়, তাহলেও নির্বাচিত প্রতিনিধিদের করব। তাদের তো কোনো নির্বাচিত প্রতিনিধি নাই। পদত্যাগ করেছে।”
বিএনপি সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়ে মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, “আমরা বলেছিলাম, আমরা থাকব। আমি তো আছি। বিএনপি কোথায়? আন্দোলনে? তারা এখন ষড়যন্ত্রমূলক সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে। দোসর জামায়াতকে নিয়ে তারা যা করেছিল, এখনো সেই অন্ধকারের পথে তারা পুনরায় যাত্রা শুরু করবে। তারা গতকাল দেশবিদেশে সবাইকে জানিয়ে দিয়েছে। তাদের ভয়ংকর চেহারা উন্মোচন হয়েছে।”
সেতুমন্ত্রী বলেন, “তারা (বিএনপি) বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আয়োজিত শান্তি সমাবেশে আসা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেছে। অর্ধশত যানবাহনে হামলা ও ভাঙচুর করেছে। আওয়ামী লীগের একটি কার্যালয় ভাঙচুর, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলমকে হত্যা করেছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে আরও কয়েকজন নেতাকর্মীকে আহত করা হয়েছে। হামলাকারী ও নির্দেশদাতাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।”
সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসীদের সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান কাদের। আগামী ৪ নভেম্বর মেট্রোরেল উদ্বোধন উপলক্ষ্যে ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য দেবেন বলেও জানান তিনি।