ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার সাম্য (২৫) হত্যার ঘটনায় তিন জনকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৪ মে) দিবাগত রাতে রাজধানীর রাজাবাজারসহ কয়েকটি এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। তবে আটক ব্যক্তিদের নাম জানা যায়নি।
নিহত শাহরিয়ার সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের ১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী ও স্যার এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলায়।
এদিকে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বুধবার (১৪ মে) সকালে নিহতের বড় ভাই শরীফুল ইসলাম শাহবাগ থানায় ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি একটি মামলা করছেন।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ খালিদ মুনসুর বলেন, তিন জনকে আটক করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন।
এর আগে, মঙ্গলবার (১৩ মে) দিবাগত রাত ১২টার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় সাম্যকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম রাতে জানান, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কালিমন্দিরের পাশে তিন যুবক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সাম্যর ওপর হামলা করেন। এসময় হামলাকারীরাও আহত হন। তারা একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ সেখান থেকে দুজনকে আটক করে। এ সময় পালিয়ে যান আরেক যুবক। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে জানা গেছে রমনা কালিমন্দিরের পাশে মোটরসাইকেলে ধাক্কাকে কেন্দ্র করে একটি মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। বিস্তারিত জানতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে।