কোটা সংস্কারের দাবিতে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন পয়েন্টের সড়কে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। এবার ফার্মগেট এলাকায় এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নামার মুখে অবরোধ করেছেন তারা। এতে এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে সব ধরনের যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায় এবং যানজটের মাত্রা আরও বেড়ে যায়।
বুধবার (১০ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এর ধারাবাহিকতায় দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ফার্মগেটে অবস্থান নেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এতে ফার্মগেট, বিজয় সরণি ও মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ এলাকায় যানচলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়। পরে তারা এক্সপ্রেসওয়েও বন্ধ করে দেন। এতে সড়কে যানজটের মাত্রা আরও বেড়ে যায়।
এর আগে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর চার সপ্তাহের জন্য স্থিতাবস্থা জারি করেছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে এ সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষ ও শিক্ষার্থীদের হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করতে বলেছেন আদালত। এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য ৭ আগস্ট দিন ধার্য করা হয়েছে।
এ আদেশের ফলে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে সরকারের জারি করা পরিপত্র বহাল থাকছে বলে জানান আইনজীবীরা।
প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এদিকে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর আপিল বিভাগের স্থিতাবস্থা প্রত্যাখ্যান করেছেন শিক্ষার্থীরা। নতুন করে তারা আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। বুধবার দুপুর ১টার দিকে এমন ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঢাকা কলেজ শাখার সমন্বয়ক নাজমুল হাসান।
দাবি মেনে নেওয়া না পর্যন্ত আন্দোলন চলবে জানিয়ে নাজমুল হাসান বলেন, “কোটা নিয়ে বারবার টালবাহানা দেখতে চাই না। সব গ্রেডে অযৌক্তিক এবং বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লেখিত অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটাকে ন্যূনতম মাত্রায় এনে সংসদে আইন পাস করতে হবে। আমরা স্থায়ী সমাধান চাই, পড়ার টেবিলে ফিরে যেতে চাই।”
 
                
              
 
																

 
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                    




























