রমজানে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার ২৯টি পণ্যের দাম বেঁধে দিলেও বাজারের চিত্র পরিবর্তন হয়নি গত ১০ দিনেও। অধিকাংশ পণ্যই বিক্রি হচ্ছে বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে বেশি দামে।
বেঁধে দেওয়া পণ্যের তালিকায় প্রথমে রয়েছে মুগ ডাল। সরকারের কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের নির্ধারণকৃত এ পণ্যের দাম খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ১৬৫ টাকা ৪১ পয়সা। কিন্তু বাজার পর্যায়ে এ ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। পাইকারি দামেও আসেনি কোনো পরিবর্তন।
ক্রেতারা বলছেন, দাম বেঁধে দেওয়ার পর পর্যাপ্ত নজরদারি না থাকায় পাল্টায়নি বাজারের চিত্র। আর বিক্রেতাদের দাবি নজরদারি কিংবা অভিযান চালাতে হবে আড়ৎ ব্যবসায়ীদের দোকানে।
নগরীর মহল্লা কিংবা অন্যান্য বাজারের তুলনায় সব থেকে কম দামে পণ্য বিক্রি হয় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে। সোমবার (২৫ মার্চ) কারওয়ান বাজারের খুচরা দোকানে মাসকালাই বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ১৮০ টাকা।
এছাড়া ছোলা (আমদানি করা) ১০০, মসুর ডাল উন্নত ও মোটা যথাক্রমে ১৩৫ ও ১১০, খেসারি ডাল প্রকারভেদে ১১৫-১২০ টাকা, পাঙ্গাস মাছ (চাষের) ১৮০-২০০, কাতল মাছ (চাষের) ৩৮০-৩৭০, গরুর মাংস ৭৫০, ছাগলের মাংস ১০০০-১১০০, ব্রয়লার মুরগি ২০৫-২১০, সোনালি মুরগি ৩২০-৩০০, ডিম (প্রতি পিস) হাঁস ও মুরগি যথাক্রমে ১৫-১০, দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজে ৭০ টাকা, দেশি রসুন ১৪০, আদা (আমদানিকৃত) ১৮০, শুকনো মরিচ ৩৬০-৪৪০, কাঁচা মরিচ ৪০-৬০, ফুলকপি ও বাঁধা কপি প্রতি পিছ ৪০, বেগুন প্রতি কেজি ৩৫-৪০, শিম ৪০, আলু ৪০, টমেটো ৩৫, মিষ্টি কুমড়া (প্রতি কেজি) ২০, জাহিদি খেজুর প্রতি কেজি ১৮০-১৮৫, মোটা চিড়া ৬০-৬৫, সাগর কলা প্রতি হালি ৪০ এবং বেসন খুচরা দোকানে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়।
এদিকে কৃষি বিপণনের তালিকায় দেখা গেছে, খুচরা মাসকালাইয়ের দাম খুচরা বেঁধে দেওয়া হয়েছে ১৬৬ টাকা ৫০ পয়সা প্রতি কেজি। এছাড়াও ছোলা (আমদানিকৃত) ৯৮ টাকা ৩০ পয়সা, মসুর ডাল উন্নত ও মোটা যথাক্রমে ১৩০ টাকা ৫০ পয়সা ও ১০৫ টাকা ৫০ পয়সা, খেসারি ডাল ১৯২ টাকা ৬১ পয়সা, পাঙ্গাস মাছ (চাষের) ১৮০ টাকা ৮৭ পয়সা, কাতলা মাছ (চাষের) ৩৫৩ টাকা ৫৯ পয়সা, গরুর মাংস ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা, ছাগলের মাংস ১০০৩ টাকা ৫৬ পয়সা, ব্রয়লার মুরগি ১৭৫ টাকা ৩০ পয়সা, সোনালি মুরগি ২৬২, ডিম (প্রতি পিস) ১০ টাকা ৪৯ পয়সা, দেশি পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৬৫ টাকা ৪০ পয়সা, দেশি রসুন ১২০ টাকা ৮১ পয়সা, আদা (আমদানি করা) ১৮০ টাকা ২০ পয়সা, শুকনো মরিচ ৩২৭ টাকা ৩৪ পয়সা, কাঁচা মরিচ ৬০ টাকা ২০ পয়সা, ফুলকপি ও বাঁধা কপি প্রতি পিছ যথাক্রমে ২৯ টাকা ৬০ পয়সা ও ২৮ টাকা ৩০ পয়সা, বেগুন প্রতি কেজি ৪৯ টাকা ৭৫ পয়সা, শিম ৪৮, আলু ২৮ টাকা ৫৫ পয়সা, টমেটো ৪০ টাকা ২০ পয়সা, মিষ্টি কুমড়া ২৩ টাকা ৩৮ পয়সা, জাহিদি খেজুর ১৮৫ টাকা ৭ পয়সা, মোটা চিড়া ৬০, সাগর কলা প্রতি হালি ২৯ টাকা ৭৮ পয়সা, এবং বেসন খুচরা দোকানে প্রতি কেজির দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছে ১২১ টাকা ৩০ পয়সা।
আরিফ নামের এক ক্রেতা বলেন, “এক থেকে দেড়মাস আগে পণ্যের দাম কমাতে হতো বা বেঁধে দিতো হতো। তাহলে ক্রেতা-বিক্রেতা সুফল পেত। এখন কম দামে পণ্য চাইলে বলে বেশি দামে কেনা। কীভাবে পাব? আমরা সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছি।”
নরুল আমিন নামের এক মুদি ব্যবসায়ী বলেন, “যে দামে পণ্য বেঁধে দিয়েছে ওই দামে কিনতে পাইনি। যেখান থেকে পণ্য আসছে, সেখানে সরকার ধরলে পণ্য সঠিক দামে বিক্রি হবে।”






























