বাজারের অসাধু সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে সরকার সব রকমের ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, “নির্বাচনী ইশতেহারে আমরা বলেছিলাম, দ্রব্যমূল্য যেন মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে সেটি আমাদের প্রায়োরিটি বা অগ্রাধিকার। এই সরকারের যাত্রার শুরু থেকে সেই অগ্রাধিকার নিয়ে আমরা কাজ করছি।”
শনিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীতে জাতীয় সংসদ ভবন প্রাঙ্গণে এলডি হল চত্বরে ‘রাঙ্গুনিয়া সমিতি, ঢাকা’ আয়োজিত সংবর্ধনা, মেজবান ও মিলনমেলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, “যারা সরকারকে টেনে নামাতে চায়, এই সিন্ডিকেটের সঙ্গে তারাও যে যুক্ত, সেটিও সঠিক। তবে আপনারা দেখছেন, বাজার মোটামুটি স্থিতিশীল আছে। কেবল পাইকারি বিক্রেতা না, খুচরা বিক্রেতাদের মধ্যেও একটু বেশি মুনাফা করার প্রবণতা দেখা দিয়েছে। আমরা এটির বিরুদ্ধে জনগণকে সচেতন হতে বলেছি।”
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বাজারের অসাধু লোভাতুর সিন্ডিকেট কারণে-অকারণে নানা অজুহাতে বিভিন্ন পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করে। আমরা দেখেছি, একটি কোল্ড স্টোরেজের ভেতর থেকে দেড় লাখ ডিম উদ্ধার করা হয়েছে। অতীতে পেঁয়াজের সংকট তৈরি করা হয়েছিল। আবার যখন বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হলো, বাজারে পেঁয়াজ সয়লাব হয়ে গেল। তখন স্টোরেজ থেকে জমিয়ে রাখা পচা পেঁয়াজ ফেলে দেওয়া হয়েছে। এই ধরনের সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আমাদের সরকার সমস্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”
ভারত থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ দেশে আসছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, “রোজার আগেই কিছু পেঁয়াজ বাজারে ঢুকবে। কাজেই বাজার মোটামুটি স্থিতিশীল আছে।”































