চট্টগ্রাম শহরের হাজারী গলির খাজা মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় প্রকাশ্যে দিবালোকে একটি বসতবাড়ি ও গোডাউনে লুটপাট চালিয়েছে ঝন্টু চৌধুরী গংয়ের ২৫/৩০ জনের দুস্কৃতিকারীরা। শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বেলা চারটার দিকে বসতবাড়ি থেকে উৎখাতের উদ্দেশে ন্যাক্কারজনক এই ঘটনা ঘটানো হয়।
এজাহার সূত্র ও ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অনেকটা ফিল্মি স্টাইলে বাদী শাবিদারা বেগমের বসতবাড়ি দখল করতে আসে উল্লিখিত দুস্কৃতিকারী ও তাদের দোসররা। প্রতিরোধের মুখে দখল করতে না পেরে তারা বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। নিয়ে যায় কয়েক ভরি সোনার অলংকার ও নগদ টাকা। যার পরিমাণ অন্তত ২০ লাখ টাকা। এছাড়া ভাঙচুর চালিয়ে নষ্ট করে মূল্যবান আসবাবপত্র। যাতে অন্তত অর্ধ কোটি টাকার ক্ষতি সাধন করে দুস্কৃতিকারীরা।
ঘটনার সময় ভুক্তভোগীদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ৯৯৯ এ ফোন করলে তাৎক্ষণিক এগিয়ে আসে পুলিশ। এবং আটক করা হয় ৫ দুস্কৃতিকারীকে। সংবাদ প্রকাশের কাছে আসা ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, পুলিশ আসার খবর পেয়ে দুস্কৃতিকারীরা শাবিদারা বেগমের বাসা থেকে পালিয়ে যাচ্ছে। প্রকাশ্য দিবালোকে এমন ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।
জানা যায়, বিরোধপূর্ণ ভুমি দখলের উদ্দেশ্যে একই এলাকার হাজারী লেনের ঝন্টু চৌধুরী, জয় চৌধুরী, ইমন দত্ত অভি ও জাহেদুল ইসলাম জনির নেতৃত্বে ২৫ থেকে ৩০ জনের এই দল শাবিদারা বেগমের বাড়ি এবং ভাড়াটিয়াদের গুদামে লুটপাট চালায়। নিয়ে যায় মূল্যবান জিনিসপত্র।
এজাহারে বর্ণিত অন্য আসামিরা হলেন, নুরুল আমিন আজাদ, আসলাম উদ্দিন, ওমর ফারুক নয়ন, মো. মোহসীন ও অজ্ঞাতনামা অনেকে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নুর ইসলাম এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি।
































