বঙ্গবন্ধু বাংলার মানুষের অধিকার আদায়ে ১৩ বছর জেল খেটেছেন উল্লেখ করে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ছয়দফা দিয়েছিলেন বাংলার মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য। তারপরও তিনি কখনই সামরিক জান্তার সঙ্গে আপস করেননি। বাংলার মানুষকে সত্যিকারভাবে ভালোবাসতেন বলেই তিনি বঙ্গবন্ধু।
তিনি সবসময় নিয়মতান্ত্রিক ও গণতান্ত্রিক রাজনীতি ও আন্দোলন করেছেন। বঙ্গবন্ধু বাংলার মানুষকে তাদের অধিকার সমন্ধে শিখিয়েছেন এবং অধিকার আদায়ে কি করতে হয়, তাও জানিয়েছেন। এজন্য তিনি টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পর্যন্ত সভা-সমাবেশ ও গণসংযোগ করেছেন এবং বাংলার সর্বস্তরের মানুষকে সংগঠিত করেছেন।
মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মিলনায়তনে সন্ত্রাস-মৌলবাদ-জঙ্গিবাদের অভয়াশ্রম বিএনপি- জামায়াতের নির্দেশে ২১ আগস্ট নারকীয় গ্রেনেড হামলা দিবসে শহীদদের স্মরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, “বঙ্গবন্ধু সবসময়ই অনুধাবন করেছেন, জনগণের অধিকার, স্বাধিকার ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় ছাত্র সমাজের ভূমিকা অনন্য। সেজন্যই তিনি আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার আগেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।”
সরকারের সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সাম্প্রতিক এক মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আনিসুল হক বলেন, “মির্জা ফখরুল ইসলাম মিথ্যা কথা বলতে বলতে কোন পর্যায়ের মিথ্যা বলেন, নিজেও ভুলে গেছেন। কারণ হলো তিনি প্রকৃত তথ্য না জেনেই কথা বলেন।” বিএনপির মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “মির্জা ফখরুল ইসলাম ভুলে গেছেন। মুফতি হান্নানকে অন্য কয়েকটি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তখন সেসব মামলায় তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। তখন এক পর্যায়ে মুফতি হান্নান বললেন, দেখুন, “আমাকে তো ফাঁসিই দিয়ে দেবেন, আমি কিছু সত্য কথা বলতে চাই। কী সে সত্য কথা? পুলিশের কাছে বলব না, আমি বলব ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে। তখন তাকে বলা হলো, ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে বললে তো ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি হিসেবে নিতে হবে। তিনি ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে বলে গেছেন।”
তিনি জবানবন্দিতে তারেক রহমানের সেই হাওয়া ভবনের কথা এবং এই একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা এবং হত্যা ষড়যন্ত্র কোথায় হয়েছে এবং সেটার আসল নায়ক কে, এসব বলে গেছেন। মির্জা ফখরুলকে বলব আপনি তথ্য জেনে নিয়ে কথা বলুন, তাহলে আপনাকে এতো মিথ্যাবাদী কেউ বলবে না।
আলোচনা সভায় ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন সভাপতিত্ব করেন। সঞ্চালনা করেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান। এতে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
 
                
              
 
																                   
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                    



























