• ঢাকা
  • বুধবার, ০৫ নভেম্বর, ২০২৫, ২০ কার্তিক ১৪৩২, ১৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

পাঁচ শরিয়াহ ব্যাংককে অকার্যকর ঘোষণা, পরিচালনা পর্ষদ বিলুপ্ত


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: নভেম্বর ৫, ২০২৫, ০৩:১১ পিএম
পাঁচ শরিয়াহ ব্যাংককে অকার্যকর ঘোষণা, পরিচালনা পর্ষদ বিলুপ্ত

আর্থিক সংকটে থাকা দেশের পাঁচটি শরিয়াভিত্তিক ব্যাংককে অকার্যকর ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়ে তাদের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।

অকার্যকর ঘোষিত ব্যাংকগুলো হলো— ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি, ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি, এক্সিম ব্যাংক পিএলসি এবং সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক পিএলসি।

বুধবার (৫ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক পৃথক চিঠির মাধ্যমে ব্যাংকগুলোকে এই সিদ্ধান্ত জানায়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রস্তাব এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সুপারিশের ভিত্তিতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছে সংশ্লিষ্ট সূত্র।

পত্রে বলা হয়েছে, ৫ নভেম্বর থেকে উল্লিখিত ব্যাংকগুলোর পরিচালনা পর্ষদের কার্যক্রম স্থগিত থাকবে। একই সঙ্গে ‘ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশ’-এর আওতায় এগুলো পরিচালিত হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, এই পাঁচ ব্যাংককে একীভূত করে একটি নতুন সরকারি মালিকানাধীন শরিয়াভিত্তিক ব্যাংক গঠন করা হবে। প্রস্তাবিত নতুন ব্যাংকের নাম হতে পারে ‘সম্মিলিত ইসলামী ব্যাংক’।

এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই আজ ব্যাংকগুলোর পর্ষদ ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বুধবার বিকেল ৪টায় ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের নিয়ে জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছেন। বৈঠকে তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি জানানো হবে বলে জানা গেছে।

এর আগে, গত ৯ অক্টোবর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি মালিকানাধীন একটি নতুন ইসলামি ব্যাংক গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে এসব ব্যাংক তারল্য সংকট, বিশাল পরিমাণ শ্রেণিকৃত ঋণ, প্রভিশন ঘাটতি এবং মূলধন ঘাটতির কারণে কার্যত দেউলিয়া অবস্থায় পড়ে। একাধিকবার তারল্য সহায়তা দেওয়ার পরও তাদের আর্থিক অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি।

ফলে ব্যাংকগুলোর শেয়ারমূল্য ব্যাপকভাবে কমে যায় এবং তাদের নেট অ্যাসেট ভ্যালু ঋণাত্মক হয়ে পড়ে।

বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করছে, এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় হচ্ছে, দুর্বল ব্যাংকগুলোকে একীভূত করে নতুন কাঠামোর অধীনে পরিচালনা করা।

জাতীয় বিভাগের আরো খবর

Link copied!