আগামী জাতীয় নির্বাচন তোড়জোড় শুরু হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোও তাদের নানা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্চে। জামায়াত তাদের প্রার্থী নির্বাচন করে ফেলেছে। বিএনপি এখনো প্রার্থী বাছাই করতে পারেনি। বেশির ভাগ আসনেই মনোনয়নপ্রত্যাশী একাধিক থাকায় আগামী নির্বাচনে বাছাই নিয়ে ব্যাপক বিচার-বিশ্লেষণ করতে হচ্ছে বিএনপিকে। দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কেউ যাতে প্রার্থী না হন, সে বিষয়ে থাকবে দলের কঠোর বার্তা। তবে প্রার্থী বাছাই চূড়ান্ত হবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফেরার পরই।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। গণতন্ত্রে ফেরার বহুল কাঙ্ক্ষিত ওই নির্বাচনের প্রার্থী হওয়ার দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে আরও অনেক আগে থেকেই।
৩০০ আসনের বেশির ভাগেই বিএনপির হয়ে ভোট দিতে ইচ্ছুক একাধিক যোগ্য প্রার্থী রয়েছেন। একক প্রার্থী ঘোষণার আগ পর্যন্ত তারা নির্বাচনী এলাকায় সক্রিয় থাকেন। তবে মনোনয়ন প্রতিযোগিতা যেন নির্বাচনের সময় দলকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে না ফেলে, সে বিষয়ে সতর্ক বিএনপি। দ্বন্দ্ব নিরসনে কেন্দ্র থেকে তৃণমূলে দেওয়া হচ্ছে বিশেষ বার্তা।
যেসব আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশীর সংখ্যা বেশি বা প্রার্থিতা নিয়ে বিরোধ, অথবা বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ার আশঙ্কা আছে, এমন এলাকায় প্রার্থী বাছাইয়ে সতর্ক বিএনপির নীতিনির্ধারকরা।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “প্রত্যেকটি আসনে একাধিক যোগ্য প্রার্থী আছে। শুধু দুইজন নয়, অনেক আসনে আমাদের ১০ জন পর্যন্ত যোগ্য প্রার্থী রয়েছেন। সুতরাং আমাদের একটি নিয়মতান্ত্রিক রাজনৈতিক প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই প্রার্থী বাছাইয়ের বিষয়টি দেখতে হচ্ছে। আমরা সেই কাজটিই করছি জেলা ও বিভাগভিত্তিক। আমরা খুব শিগগিরই আসনভিত্তিক একক প্রার্থীকে মাঠে কাজ করার জন্য গ্রিন সিগনাল দেবো।”