ঝালকাঠি জেলা আ. লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শারমিন মৌসুমি কেকার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৩ অক্টোবর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বরিশাল নগরীর টাউন হল সংলগ্ন নিজ বাসা থেকে তার লাশটি উদ্ধার করা হয়।
বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, ৯৯৯- নম্বরে কল পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে মৃত্যুর কারণ বলা যাচ্ছে না। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
কেকার পরিবার জানিয়েছে, বিকেলে নিজ কক্ষে ঘুমাতে যান তিনি। রাত ৯টা বাজলেও কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে তার মেয়ে দিতান ডাকতে গিয়ে দেখেন কেকার লাশ।
মৃতের ঘনিষ্ঠজন সূত্রে জানা গেছে, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে শারমিন মৌসুমী কেকার বিরুদ্ধে ঝালকাঠিতে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওইসব মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে আওয়ামী লীগ নেত্রী কেকা বরিশাল নগরীর সদর রোডের অশ্বিনী কুমার টাউন হলের সামনের শ্বশুরবাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন।
স্থানীয়দের দাবি, সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে নয়টার দিকে কেকার মরদেহ উদ্ধার করা হলেও ধারণা করা হচ্ছে তিনি (কেকা) ওইদিন বিকেলে মৃত্যুবরণ করেছেন। তাছাড়া মৃতের শরীরের বিভিন্নস্থানে ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে। এ মৃত্যুকে রহস্যজনক দাবি করে নগরীজুড়ে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
নিহত কেকা বরিশাল নগরীর সদর রোড এলাকার বাসিন্দা হিরন আহমেদ লিটুর স্ত্রী। তিনি (কেকা) সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর ঘনিষ্ঠজন ছিলেন।
মৃতের স্বজনদের অভিযোগ, কেকাকে তার শ্বশুরবাড়ির লোকেরা পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। এ ব্যাপারে কোতয়ালী মডেল থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ‘পুরো বিষয়টি গভীরভাবে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনও কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।