আলোচিত ও সমালোচিত ‘আয়নাঘর’ নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন সাবেক সেনা অফিসার মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান। তিনি বলেছেন, “আয়নাঘরের কারিগর আমি? এসব কীভাবে বানান। আমি আয়নাঘরের কারিগর নই। এসব আমার নামে বানানো ও মিথ্যা অভিযোগ।”
বুধবার (১৬ অক্টোবর) সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান কর্নেল (অব.) মো. তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরীকে গুমের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর শুনানিকালে জিয়াউল আহসান আদালতের কাঠগড়ায় এসব কথা বলেন।
এদিন মামলাটিতে তাকেও গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য কারাগার থেকে সকালে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিউমার্কেট থানার সাব ইন্সপেক্টর মো. তহিদুল ইসলাম এ আসামিকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন।
শুনানিকালে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমান তদন্ত কর্মকর্তাকে বিচারক জিজ্ঞাসা করেন, আসামি কি অব্যাহতি প্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা? তখন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, “না অব্যাহতি প্রাপ্ত নন, তিনি মূলত অবসরপ্রাপ্ত।”
তখন বিচারক মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে প্রশ্ন রাখেন, “ওনার নামের পাশে অব্যাহতি প্রাপ্ত লেখা রয়েছে এটা ঠিক করে দেবেন।”
ওই সময় উপস্থিত বিএনপিপন্থি আইনজীবী নয়ন কাইয়ুম বলে ওঠেন, “উনি মূলত অব্যাহতিপ্রাপ্ত। আয়নাঘরের মূলহোতা তিনি। বিগত সরকারের খুন-ঘুমের কারিগর।”
এ বক্তব্যর প্রতিবাদে আসামি পক্ষের আইনজীবী বলেন, “আয়নাঘরের হোতা বললেই হলো? এসব পান কই।”
তখন বিচারক বলেন, “এখন তো শুনানির সময় না। আপনারা সবাই চুপ করেন।”
শুনানি শেষে নিউ মার্কেট থানার এ মামলায় জিয়াউল আহসানকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়ে বিচারক খাসকামরায় চলে যান। তখন কাঠগড়ায় দাঁড়ানো অবস্থায় জিয়াউল আহসান বিএনপিপন্থি আইনজীবীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আয়নাঘরের কারিগর আমি? এসব কীভাবে বানান। আমি আয়নাঘরের কারিগর নই। এসব আমার নামে বানানো ও মিথ্যা অভিযোগ।”
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান কর্নেল (অব.) মো. তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরীকে ২০১৮ সালের ২৭ ডিসেম্বর এলিফ্যান্ট রোডের বাসা থেকে সাদা পোষাকে তুলে নিয়ে যায় আসামিরা। দুই দিন গুম করে রাখার পর ২৯ ডিসেম্বর তাকে দুটি ভুয়া মামলা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে জামিন পেয়ে তিনি এসব বিষয়ে অভিযোগ জানাতে থানায় গেলেও সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) নথিভুক্ত করা হয়নি।
এ ঘটনায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারেক আহমেদ সিদ্দিক, জিয়াউল আহসানসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তোহিদুল ইসলাম।
 
                
              
 
																
 
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                     
                                                    




























