প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে আগামী নতুন নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠন হওয়া উচিত।
বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনে ৮৬তম কমিশন বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন সিইসি।
এদিকে বর্তমান ইসির মেয়াদ শেষ হবে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। কমিশন গঠনের বিষয়ে এখনও কোনো আইন প্রণয়ন করা হয়নি। এ ক্ষেত্রে গত দু’বার সার্চ কমিটির মাধ্যমে ইসি নিয়োগ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি।
এর আগে বিএনপিসহ কিছু দল সার্চ কমিটির বিরোধিতাও করছে। এ অবস্থায় নতুন কমিশন গঠন নিয়ে সিইসির মতামত জানতে চান সাংবাদিকরা।
সিইসি কেএম নূরুল হুদা বলেন, “পরবর্তী নির্বাচন কমিশন (ইসি) রাজনৈতিক ঐক্যমতের ভিত্তিতে গঠন হওয়া উচিত। অবশ্যই এটা হওয়া উচিত; আমি এটাকে সমর্থন করি। যেন নতুন কমিশন সবার সমর্থনযোগ্য হয়- সে রকম হওয়া উচিত।”
সিইসি বলেন, “নতুন কমিশন কী হবে সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কোন মতামত থাকে না। কমিশনের কাছে সাধারণত মতামত চাওয়া হয় না। যদি চাওয়া হয় তাহলে আমরা কমিশন বসে দেখবো আমাদের কোনো মতামত আছে কি-না।”
এ সময় কমিশন গঠনে আইন প্রণয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এটা তৈরি করে সংসদ। আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমাদের আইনগুলো হয়। তাদের কাছ থেকে এ রকম কোনো ইঙ্গিত আসেনি যে, আইন তৈরি করতে হবে, কি হবে না। এ বিষয়ে তাদের সঙ্গে আমাদের কোনো আলোচনা হয়নি।”
ঐক্যমত কীভাবে হতে পারে এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, “এটা রাষ্ট্রপতি করতে পারেন। গতবার যেমন তিনি সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। এটা ওনার বিষয়। আমাদের করণীয় কিছু নেই। ঐক্যমতের বিষয়ে আমাদের কোনো ভূমিকা থাকে না।”
আইন হলেই আস্থার সঙ্কট দূর হবে কিনা- জানতে চাইলে তিনি বলেন, “এটা কী ধরনের আইন হবে তার ওপর নির্ভর করবে।”
এছাড়া রাশিয়ার নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন সিইসি।
এ সময় ইসির অতিরিক্ত সচিব, এনআইডি উইংয়ের ডিজি ও ইসির অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।