• ঢাকা
  • বুধবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১, ১৯ রবিউস সানি ১৪৪৬

‘সবচেয়ে ভালো লাগে ঘর পাওয়া মানুষের মুখের হাসি’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: এপ্রিল ২৬, ২০২২, ১২:৪৮ পিএম
‘সবচেয়ে ভালো লাগে ঘর পাওয়া মানুষের মুখের হাসি’

দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানো একজন রাজনীতিবিদের জীবনে সবচেয়ে বড় পাওয়া বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “সবচেয়ে ভালো লাগে ঘর পাওয়া মানুষের মুখের হাসি।”

মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) ভিডিও কনফারেন্সে একযোগে দেশের ৪৯২টি উপজেলায় ছিন্নমূল মানুষকে ভূমি ও গৃহদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, “সারা দেশে ৮ লাখের ওপর মানুষ পেয়েছি, যারা ছিন্নমূল। আমরা প্রতিটি মানুষকে ঘরবাড়ি করে দেব। শুধু খাস জমি নয়, জমি কিনেও ঘর করে দিচ্ছি বিনা মূল্যে। আমি জাতির পিতার আদর্শের কর্মী, শুধু তার কন্যা নয়। আমরা বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের জন্য ঘরবাড়ি নিশ্চিত করব।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজকে বারবার মনে পড়ছে আমার বাবার কথা। তিনি শুধু ভাবতেন, কীভাবে দেশের মানুষ অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান পাবে। কীভাবে তাদের ভাগ্য পরিবর্তন হবে। জাতির পিতার পথ ধরে আমরা মানুষের মুখে হাসি ফুটিয়েছি। এটা দেখে নিশ্চয়ই জাতির পিতার আত্মা শান্তি পাবে।”

শেখ হাসিনা বলেন, “আমিও তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে কাজ করে যাচ্ছি। কুষ্ঠরোগী, তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ, পরিচ্ছন্নতাকর্মী, চা শ্রমিক, ছিন্নমূলসহ সমাজের প্রতিটি অবহেলিত ভূমিহীন ও গৃহহীনদের বাসস্থানের ব্যবস্থা করছি। এটা জাতির পিতার আদর্শের আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতা-কর্মীরও দায়িত্ব।”

সরকারপ্রধান বলেন,“জাতির পিতা তো দুঃখী মানুষের মুখেই হাসি ফোটাতে চেয়েছেন। এই বাংলাদেশ যেন বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারে, সে লক্ষ্যে কাজ করছি। ‍উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। যে জাতি রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করে, সে জাতি পিছিয়ে থাকতে পারে না।”


প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সিনিয়র সচিব তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ এবং সরকারের পদস্থ কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। এদিন সারা দেশে ৩২ হাজার ৯০৪টি পরিবারকে একটি সেমিপাকা ঘরসহ দুই শতক জমির দলিল হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী।

Link copied!