সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন বিষয়ে ‘তড়িৎ ব্যবস্থা’ নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক।
রোববার (২৪ অক্টোবর) বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (জাতি) এক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
সম্প্রতি কুমিল্লার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সার্বিক নিরাপত্তার লক্ষ্যে জাতীয় সংসদে ‘সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন’ পাসের বিষয়টি আবারও আলোচনায় আসে। এ বিষয়ে আইনমন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি ‘তড়িৎ ব্যবস্থা’ নেওয়ার কথা জানান।
এসময় সম্প্রতি রংপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে একটি হিন্দু জনপদে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এক ছাত্রলীগ নেতার নাম আসার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে আনিসুল হক বলেন, “ছাত্রলীগ বা অন্য লীগ বা অন্য দল... এসব না। যারা অপরাধ করবে তাদের বিচার হবে। সে যেই দলেরই হোক, যে গোষ্ঠীরই হোক, যে জাতিরই হোক। কিন্তু অপরাধী অপরাধীই, তার বিচার হবে।”
আইনমন্ত্রী আরো বলেন, “দেশেকে অস্থিতিশীল করতেই সারাদেশে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা করা হয়েছে। এর সাথে জড়িতরা যে দলেরই হোক না কেনো তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। কেউ যদি ব্যক্তি স্বার্থে অন্যায় করে তাদেরও বিচারের আওতায় আনা হবে।”
এর আগে শনিবার বিকেলে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির এক আন্তর্জাতিক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, “শিগগিরই দেশে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন তৈরি করা হবে।”
‘চলমান সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস : সরকার ও নাগরিক সমাজের করণীয়’ শীর্ষক এ ওয়েবিনারে বক্তারা শিগগির সাক্ষী সুরক্ষা আইন ও সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এবং জাতীয় সংখ্যালঘু কমিশন গঠনের বিষয়ে সরকারের প্রতি নতুন করে আহ্বান জানান।
এর পরিপ্রেক্ষিতে আইনমন্ত্রী বলেন, “আজকের সভায় বক্তারা যে দাবি জানিয়েছেন, সেই সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন খুব শিগগিরই তৈরি করার অঙ্গীকার করছি।”