যুগ্মসচিব পদে ২১৩ কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার। উপসচিব থেকে যুগ্মসচিব পদে তাদের এই পদোন্নতি দেয়া হয়েছে।
শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ নিয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
এদিকে নিয়ম অনুযায়ী পদোন্নতি দিয়ে কর্মরত কর্মকর্তাদের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। এ পদোন্নতিপ্রাপ্ত যুগ্মসচিবদের পদায়ন করা হয়নি।
পদোন্নতিপ্রাপ্তদের মধ্যে ২০৩ জন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও অন্যান্য সরকারি দফতরে কর্মরত আছেন। ১০ জন বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাস ও হাইকমিশনে কর্মরত।
মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, পদোন্নতির পর যুগ্মসচিবের মোট সংখ্যা হলো ৮০৩ জন। যুগ্মসচিবের নিয়মিত পদের সংখ্যা ৪০০-এর কিছু বেশি।
এদিকে স্থায়ী পদ না থাকায় এমনিতেই অনেক যুগ্মসচিবকে নিচের পদে কাজ করতে হচ্ছে, তার ওপর নতুন করে পদোন্নতি দেওয়া হলো। পদোন্নতিপ্রাপ্ত বেশিরভাগ যুগ্মসচিবকে বর্তমান কর্মস্থলে ইনসিটু (উপ-সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করা স্থানে) থাকতে হবে।
এবার যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে মূল বিবেচ্য ছিল ২০তম ব্যাচ। বিবেচনায় এসেছেন এর আগের পদোন্নতি বঞ্চিতরাও। এত সংখ্যক কর্মকর্তাকে পদোন্নতির পর বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগও রয়েছে।
এর আগে সর্বশেষ গত বছরের ৫ জুন ১২৩ কর্মকর্তাকে যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি দিয়েছিল সরকার।
যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তাদের তাদের যোগদানপত্র ই-মেইলে ([email protected]) পাঠাতে বলেছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এছাড়া প্রজ্ঞাপনে বিদেশে থাকা কর্মকর্তাদের ক্ষেত্রে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২০১৪ সালের ২৪ মার্চের আদেশ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তার প্রেষণ পদের বেতনস্কেল উন্নীত করে আদেশ জারি করবে। আদেশ জারির পর পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উন্নীত পদে যোগদান করে যোগদানপত্র নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় পাঠাবেন।
পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উন্নীত পদে যোগদানের তারিখ থেকে পদোন্নতিপ্রাপ্ত পদের বেতন-ভাতা পাবেন।
তবে বৈদেশিক ভাতা এবং এন্টারটেইনমেন্ট অ্যালাউন্সের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দূতাবাস বা মিশনের নির্ধারিত হার প্রযোজ্য হবে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বদলি বা অন্য কোনো কারণে পদশূন্য হওয়ার আগ পর্যন্ত উন্নীত বেতন স্কেল বহাল থাকবে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে।
‘সরকারের উপসচিব, যুগ্মসচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পদে পদোন্নতি বিধিমালা, ২০০২’-এ বলা হয়েছে, যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতির ক্ষেত্রে ৭০ শতাংশ প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের ও ৩০ শতাংশ অন্যান্য ক্যাডারের উপসচিব পদে কর্মরতদের বিবেচনায় নিতে হবে।