• ঢাকা
  • রবিবার, ০৪ মে, ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২, ৫ জ্বিলকদ ১৪৪৬

প্রতারণা করে যেভাবে টাকা হাতিয়ে নিত চক্রটি


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: আগস্ট ১, ২০২২, ০২:৪৭ পিএম
প্রতারণা করে যেভাবে টাকা হাতিয়ে নিত চক্রটি

মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বিকাশ, নগদ, রকেটের অফিসের কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে আর্থিক লেনদেনের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড থেকে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের মূল হোতাকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।

গ্রেপ্তার ব্যক্তির নাম মো. খোকন ব্যাপারী ওরফে জুনায়েদ (৩০)। নারায়ণগঞ্জ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি।

সিআইডি জানায়, পাঁচ-ছয় বছর ধরে খোকন মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল। তার নিজস্ব একটি চক্র রয়েছে। প্রতারণা করে এখন পর্যন্ত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন তিনি।

সোমবার (১ আগস্ট) দুপুরে মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সংস্থাটির এলআইসি শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর এসব তথ্য জানান।

মুক্তা ধর জানান, একটি চক্র বিকাশ, নগদ, রকেটের অফিসের কর্মকর্তার পরিচয় দিয়ে আর্থিক লেনদেনের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে সাধারণ মানুষের ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড থেকে প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। প্রতারণার শিকার এক ব্যক্তির অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সিআইডি অভিযান পরিচালনা করে। পরে গতকাল নারায়ণগঞ্জ থেকে খোকন ব্যাপারী ওরফে জুনায়েদকে গ্রেপ্তার করে।

সিআইডির এই কর্মকর্তা জানান, খোকনের নেতৃত্বে তিন-চার সদস্যের একটি প্রতারক চক্র মোবাইলে আর্থিক লেনদেনের প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে নিজেদের বিকাশ/নগদ রকেটের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে প্রায় পাঁচ-ছয় বছর প্রতারণা করে আসছিল। চক্রটি ছয়টি ধাপে প্রতারণার কাজটি করত।

প্রতারণার ধাপগুলো উল্লেখ করে মুক্ত ধর জানান, প্রথম ধাপে প্রতারক বিকাশ কর্মকর্তা হিসেবে ভিকটিমকে ফোন দিয়ে অ্যাকাউন্ট আপডেট করতে বলে। আর অ্যাকাউন্টটি আপডেট না করলে স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানায়।

দ্বিতীয় ধাপে প্রতারক ভিকটিমের ব্যবহৃত বিকাশ অ্যাকাউন্টটিতে ভুল পাসওয়ার্ড তিনবারের অধিক দিলে অ্যাকাউন্টটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সাসপেন্ড হয়ে যায়। তৃতীয় ধাপে, ভিকটিমকে জানানো হয়, তার অ্যাকাউন্টটি সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে এবং অ্যাকাউন্টে থাকা টাকা ব্লক হয়েছে। তবে এই টাকা ডেবিট/ক্রেডিট কার্ডে ট্রান্সফার করা সম্ভব।

চতুর্থ ধাপে প্রতারক ভিকটিমের ডেবিট/ক্রেডিট কার্ডের নম্বর এবং সিভিএন জানতে চায়। পঞ্চম ধাপে ভিকটিম এসব তথ্য সরবরাহ করলে ডেবিট/ক্রেডিট কার্ডের সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে যে মোবাইল নম্বর সরবরাহ করে সেই মোবাইল নম্বরে একটা ওটিপি (OTP) কোডসংবলিত একটি মেসেজ যায়।

সর্বশেষ ধাপে ভিকটিম মেসেজটি রিসিভ করার পর সেই কোডটি প্রতারককে জানায়। কোডটি পাওয়ার পর ভিকটিমের ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড থেকে সর্বোচ্চ পরিমাণ টাকা প্রতারক তার নিজের বিকাশ অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে।

গ্রেপ্তার খোকন এ পর্যন্ত তার সহযোগীদের নিয়ে প্রায় এক কোটির বেশি টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করেছেন।

জাতীয় বিভাগের আরো খবর

Link copied!