পোলট্রি খামার শুরু করেই কেউ বন্ধ করে দিয়েছেন। আবার কেউ বিনিয়োগ করে হামাগুঁড়ি দিয়ে চলছেন। এভাবেই অস্থির অবস্থায় দেশের প্রায় দেড় কোটি প্রান্তিক পোলট্রি খামারি।
শনিবার (৯ অক্টোবর) রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম-ইআরএফ মিলনায়তনে প্রান্তিক খামারি সভায় এসে এসব কথা জানান খামারিরা।
খামারিরা বলছেন, “ফিডের দাম বৃদ্ধি, বাচ্চার দাম বাড়িয়ে দেয়াসহ নানামুখী সিন্ডিকেট সমস্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তারা। পোলট্রি খাতে ব্যয় করে কোনো লাভ নেই। তাহলে বেকাররা কীভাবে এগিয়ে আসবে আর খামারিরা টেকসইভাবে এ ব্যবসা করবে বলে প্রশ্ন করেন তারা।”
এ জন্য এ খাতের সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন, ফিড ও বাচ্চার দাম যৌক্তিকভাবে বৃদ্ধি বন্ধ করা, সহজ শর্তে ব্যাংকঋণ ও প্রণোদনা প্রদান, ওষুধ ও ভ্যাকসিন সহজলভ্য করাসহ ১১ দফা দাবি বাস্তবায়নে সরকারকে জোর দাবি জানান তারা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারের অতিরিক্ত সচিব কৃষিবিদ ড. শেখ মহ. রেজাউল ইসলাম, প্রধান আলোচক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুখ্য বিজ্ঞানী ড. লতিফুল বারী, বিশেষ অতিথি ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম-ইআরএফের সাধারণ সম্পাদক এসএম রাশিদুল ইসলাম।
এতে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ এসএমই ফোরাম প্রেসিডেন্ট ও বাংলাদেশ পোলট্রি শিল্প ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা চাষি মামুন। এছাড়া সভায় বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন জেলা ও বিভাগ থেকে আগত করোনা ও অন্যান্য সংকটে বিপর্যস্ত প্রান্তিক খামারিরা।