জামালপুরের একটি মাদ্রাসা থেকে নিখোঁজ হওয়া তিন ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাত ১২টার দিকে রাজধানীর মুগদা মানদা বস্তি থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়। রাতেই তাদের জামালপুর পাঠিয়েছে পুলিশ। তারা জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার দারুত তক্বওয়া মহিলা মাদ্রাসার আবাসিকের ছাত্রী। এরা হলেন মনিরা আক্তার, মীম আক্তার ও সূর্যবানু।
পুলিশ জানায়, ওই তিন ছাত্রী মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে যান। তারা ইসলামপুর রেলস্টেশনে গিয়ে ট্রেনে উঠে রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে আসেন। কমলাপুর রেলস্টেশনের সিসিটিভির ফুটেজ থেকে নিখোঁজ ৩ ছাত্রীকে শনাক্ত করা হয়। ফুটেজে দেখা যায়, কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে একটি রিকশা ভাড়া করেন। কিন্তু কোথায় যাবেন ,তা বলতে না পারায় রিকশাচালক তাদের মুগদায় নিয়ে রাখেন।
রিকশাচালক রাজা মিয়ার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাতেই মুগদার মানদা বস্তির একটি কক্ষ থেকে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই ৩ ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয় বলে জানায় পুলিশ।
রিকশাচালক মো. রাজা মিয়া জানান, কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে রিকশাটি ভাড়া করার সময় ওই ছাত্রীরা বলতে পারছিলেন না কোথায় যাবেন। পরে তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছে বলে জানায়। এরপর তাদের নিজ বাসায় রাখেন।
রাজা মিয়া আরও জানান, মাসিক দেড় হাজার টাকা ভাড়ায় তাদের ঘর ভাড়া নিয়ে দিয়েছেন। দুইজনকে একটি পোশাক কারখানায় চাকরিও নিয়ে দিয়েছেন তিনি।
জামালপুরের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার (ইসলামপুর সার্কেল) মো. সুমন মিয়া জানান, তিন ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়েছে। রাতেই তাদের নিয়ে জামালপুরের উদ্দেশে রওনা দেওয়া হয়েছে।
গত রোববার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে ওই তিন ছাত্রী মাদ্রাসার অন্য আবাসিক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে একটি কক্ষে ঘুমিয়ে পড়েন। পরদিন সকালে ফজরের নামাজ আদায়ের জন্য ঘুম থেকে সব শিক্ষার্থীকে জাগিয়ে দেওয়া হয়। অন্যদের মতো ওই তিন শিক্ষার্থীও নামাজ আদায়ের প্রস্তুতি নেন। এরপর থেকেই তারা নিখোঁজ থাকেন। সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে মাদ্রাসার পক্ষ থেকে নিখোঁজ ছাত্রীর ব্যাপারে সাধারণ ডায়েরি করা হয়। পুলিশ ওই রাতেই মাদ্রাসায় অভিযান চালিয়ে বাকি আবাসিক ছাত্রীদের অভিভাবকের হাতে তুলে দেয়। এরপর মাদ্রাসায় তালা ঝুলিয়ে দেয়।
এদিকে নিখোঁজ এক ছাত্রীর বাবার মামলার পরিপ্রেক্ষিতে মাদ্রাসার পরিচলাকসহ ৪ শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়।