ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগে লালবাগ থানায় করা মামলায় বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা আহ্বায়ক হাসান আল মামুনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২ নভেম্বর) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকীর আদালতে আইনজীবীর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন হাসান আল মামুন।
মামুনের পক্ষে জামিন শুনানি করেন জোবায়ের আহমদ। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. আলী আকবর জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন আবেদন নাকচ করে মামুনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এদিকে কারাগারে যাওয়ার আগে হাসান আল মামুন সাংবাদিকদের বলেন, “আমি নির্দোষ। আমাকে এই মামলায় পরিকল্পিতভাবে জড়ানো হয়েছে। এই বাদীর সঙ্গে মূলত কোতোয়ালি থানার মামলার আসামি নাজমুল হাসান সোহাগের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। আমি এ দেশের মানুষের কাছে এবং আদালতের কাছে মামলাটি পুনঃতদন্তের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করছি।”
২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ঢাবির ইসলামিক স্ট্যাডিজ বিভাগের এক শিক্ষার্থী লালবাগ থানায় হাসান আল মামুনকে প্রধান আসামি করে ছয়জনের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের অভিযোগে মামলাটি করেন। এজাহারে ধর্ষণে সহযোগিতাকারী হিসেবে ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের নাম উল্লেখ করা হয়।
একই অভিযোগে গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর কোতোয়ালি থানায় ছয়জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলাটি করেন ওই শিক্ষার্থী। মামলায় ওই তরুণীকে অপহরণের পর পারস্পরিক সহযোগিতায় ধর্ষণ এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হেয়প্রতিপন্ন করার অভিযোগ আনা হয়। তবে দুই মামলায় ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরের বিরুদ্ধে অভিযোগ পায়নি তদন্ত সংস্থা।