প্রায় ১৭ ঘণ্টার সফর শেষে ঢাকা ছেড়ে গেছেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। রোববার (৭ আগস্ট) বেলা পৌনে ১১টায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে বিদায় জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
এর আগে সকালে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী রাজধানীর একটি হোটেলে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে দুই পক্ষের মধ্যে চারটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
শনিবার (৬ আগস্ট) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে বিশেষ একটি ফ্লাইটে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় আসেন। বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে গিয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানান চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পরে তিনি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর ঘুরে দেখেন। এরপর জাদুঘরের পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
ওয়াং ইর সফরে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বিষয়ে চারটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। সমঝোতা স্মারকগুলো হচ্ছে পিরোজপুরে অষ্টম বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ সেতুর হস্তান্তর সনদ, দুর্যোগ মোকাবিলা সহায়তার জন্য পাঁচ বছর মেয়াদি সমঝোতা স্মারকের নবায়ন, ২০২২-২৭ মেয়াদে সাংস্কৃতিক সহযোগিতা সমঝোতা স্মারকের নবায়ন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও চীনের ফার্স্ট ইনস্টিটিউট অব ওশেনোগ্রাফির মধ্যে মেরিন সায়েন্স নিয়ে সমঝোতা স্মারক।