ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে ভাড়া বাড়ানোর প্রস্তাবের বিষয়ে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় এবার লঞ্চ না চালানোর ঘোষণা দিয়েছেন মালিকরা।
শনিবার (৬ নভেম্বর) লঞ্চ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে এ কথা জানান।
সাধারণ সম্পাদক বলেন, “ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে আমাদের দাবি না মানায় এবার যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।”
এদিকে যাত্রীবাহী লঞ্চের ভাড়া ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ১ টাকা ৭০ পয়সার পরিবর্তে ৩ টাকা ৪০ পয়সা ও ১০০ কিলোমিটারের পর ১ টাকা ৪০ পয়সার বদলে ২ টাকা ৮০ পয়সা করার প্রস্তাব করেছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল সংস্থা।
এর আগে গত ৫ নভেম্বর বিকেলে সারা দেশের লঞ্চ মালিকদের সমন্বয়ে সংস্থার কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক জরুরি সভায় এই প্রস্তাব করে তা বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এছাড়া যাত্রীবাহী লঞ্চের পরিচালনা ব্যয় ও সদ্য জ্বালানি তেলের মূল্য লিটার প্রতি ১৫ টাকা বৃদ্ধির কারণে ভাড়া বাড়ানোর অনুরোধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল সংস্থার প্রেসিডেন্ট মাহবুব উদ্দিন আহমদ।
গত বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) থেকে ডিজেল-কেরোসিনের দাম প্রতি লিটার ভোক্তা পর্যায়ে ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০ টাকা পুনর্নির্ধারণ করেছে সরকার। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে জনজীবনে ব্যাপক নেতিবাচক প্রভাবের আশঙ্কায় এ নিয়ে শুরু হয়েছে সমালোচনা। ডিজেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে শুক্রবার থেকে বাস চালানো বন্ধ রেখেছেন মালিকরা। লঞ্চ মালিকরা ভাড়া দ্বিগুণ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন সরকারের কাছে।